Published : 02 Jan 2025, 06:35 PM
দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড় জনপদের মানুষ শীতের দাপটে কাঁপছে। শহর-বন্দরে কমেছে লোক-সমাগম। মাঠে-ঘাটে কাজকর্মেও দেখা দিয়েছে শিথিলতা।
শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বৃদ্ধ ও শিশু। গবাদি পশুদের শীত নিবারণে পরানো হচ্ছে বস্ত্র।
পঞ্চগড় জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার তথ্য দিয়েছেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায়।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। একদিনের ব্যবধানে যা ৩ ডিগ্রি কমেছে।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হিম বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতের কারণে বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষ।
প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। সড়কে মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলক কম।
শীত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে মানুষ খড়-কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে তাপ নিচ্ছে।
পঞ্চগড় জেলা শহরের ব্যবসায়ী সানোয়ার হোসেন বলেন, “শীতের জন্য মানুষ কম চলাচল করছে।”
বোদা উপজেলার বেংহারী বনগ্রাম ইউনিয়নের ছেতনাইপাড়া এলাকায় কৃষক ওসমান গণি বলেন, “দুইদিন থেকে প্রচুর ঠান্ডা পড়ছে। খুবই কষ্টের মধ্যে আছি। কাজ-কাম কিছুই করতে পারছি না ঠান্ডার জন্য।”
বোদা বাজারের ভ্যানচালক সুলতান বলেন, “এই ঠান্ডায় কোনো যাত্রী পাচ্ছি না, বসে আছি। কিন্তু আমরা বের না হলে খাবো কী।”
বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার জাহিদ হোসেন বলেন, “গত তিনদিন থেকে শীত বেড়েছে। ফলে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।”
শিশু ও বৃদ্ধদের প্রতি খেয়াল রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
যেহেতু রোদ নেই, হাল্কা বাতাস চলছে, তাই শীত বেশি মনে হচ্ছে, আগামী দুই-একদিনের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।