Published : 05 Jun 2025, 01:58 PM
গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ঈদ উপলক্ষে এই দুই পয়েন্ট দিয়ে রাজধানী ও গাজীপুর ছাড়ছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
বাড়তি যানবাহনের চাপ বাড়ায় মহাসড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে গাড়ি চলছে ধীর গতিতে। যানজট এড়াতে কাজ করছে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গি এলাকা ও ভোগড়া বাইপাস থেকে সালনা তিন কিলোমিটার এলাকায় যানজট দেখা গেছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ও এর আশপাশের অন্তত ১২ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকায় যানজট পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেখানে থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করছে।
গাড়ির চাপের কারণে বাসস্টপেজগুলোয় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া গাড়ি পার্কিং ও যাত্রী ওঠানো-নামানোর কারণেও জটলা রয়েছে।
তবে মহাসড়কের এসব পয়েন্ট ছাড়া বেশির ভাগ অংশে চিরচেনা যানজট না থাকায় ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা।
রাজধানীর বনানী থেকে রংপুরগামী মো. আমির হোসেনের সঙ্গে সকাল ৯টায় কথা হয় চন্দ্রা এলাকায়।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এ কর্মকর্তা বলেন, “ঢাকা থেকে কোনাবাড়ি পর্যন্ত আসতে তেমন কোনো বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু কোনাবাড়ি থেকে চন্দ্রা আসতে সময় লেগেছে আড়াই ঘণ্টা। এর মধ্যে কোথাও পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়নি।”
স্থানীয় কারখানা শ্রমিক কবির হোসেন বলছিলেন, “গাজীপুরের সফিপুর থেকে চন্দ্রা যেতেই সময় লাগছে এক থেকে দুই ঘণ্টা। কোনো অবস্থাতেই যেন গাড়ি এগোচ্ছে না। যানবাহনের গতিও অনেক কম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।”
এদিকে বৃহস্পতিবার গাজীপুরের অবশিষ্ট ৫০ ভাগ পোশাক কারখানায় ছুটি হওয়ার কথা রয়েছে। এ কারণে বিকালে যানবাহন ও যাত্রীদের এই চাপ আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তখন যানজট হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।
তবে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মহাসড়কে চার হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করছেন বলে জানা গেছে। রয়েছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরাও।
হাইওয়ে পুলিশ বলছে, এবার তিন পর্বে পোশাক কারখানায় ঈদের ছুটি হচ্ছে। মঙ্গলবার ১০ ভাগ, বুধবার ৪০ ভাগ এবং বৃহস্পতিবার ৫০ ভাগ কারখানায় ঈদের ছুটি হচ্ছে। বেশিরভাগ কারখানাই নিজেদের পরিবহন ব্যবস্থা রেখেছে। যাদের গাড়ির ব্যবস্থা নেই তারা স্টেশনগুলোতে দীর্ঘসময় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করে পর্যাপ্ত যানবাহন না পেয়ে খোলা ট্রাক, বাসের ছাদ, পিকআপ ভ্যান বা অন্য ছোট যানবাহনে করেই ঈদে বাড়ি যাচ্ছেন।
এই সুযোগ পরিবহন সংশ্লিষ্টরা অন্যবারের মতোই অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী যাত্রীরা।
নাওজোড় হাইওয়ে পুলিশের ওসি সওগাতুল আলম বলেন, “ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিনস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মহাসড়কে পুলিশ সদস্য ছাড়াও সেনা ও বিজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।”