Published : 25 Feb 2025, 04:24 PM
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের বহনকারী ভাড়ায় চালিত একটি বাস উল্টে অন্তত আটজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাস কুষ্টিয়া-ঝিনাইদাহ মহাসড়কের বিত্তিপাড়া বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে কুষ্টিয়া হাইওয়ে থানার ওসি সৈয়দ আল মামুন জানান জানান।
আহতদের উদ্ধার করে ইবির নিজস্ব চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাইওয়ে থানার পুলিশ বলছে, চলন্ত বাসে ‘চালক ঘুমিয়ে পড়ায়’ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আহত শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম বলেন, “বাসটি কুষ্টিয়া শহর থেকে ছাত্রদের নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিল। পথে বিত্তিপাড়া বাজারের কাছে ফাঁকা মাঠে বাসটি উল্টে যায়। ভাগ্যিস, ওই সময় আগে পিছে কোনো দ্রুত গতির যানবাহন ছিল না। তাই বড় ধরনের কিছু ঘটেনি।”
দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ির পেছনে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক গাড়ির চালক ধনি মিয়া বলেন, “কি ঘটনা ঘটলো বুঝতে পারলাম না। হঠাৎ দেখি বাসটা উল্টে গেলো। সঙ্গে সঙ্গে আমার গাড়ি থামিয়ে সবাই নেমে উদ্ধার কাজ শুরু করি। ওই গাড়িতে ২৭-২৮ জন শিক্ষার্থী ছিলো, তাদের উদ্ধার করে আমরা ক্যাম্পাসে নিয়ে আসি।”
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ মেডিকেল অফিসার সিরাজুল ইসলাম বলেন, “মঙ্গলবার ১১টার দিকে আহত ৭-৮ জন চিকিৎসা কেন্দ্রে আসেন। তাদের মধ্যে একজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।”
কুষ্টিয়া হাইওয়ে থানার ওসি আল মামুন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বহনকারী একটি ভাড়ায় চালিত বাস রাস্তার পাশের ধানক্ষেতে উল্টে যায়। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়িটি উদ্ধার করার চেষ্টা করছে। তবে এ ঘটনায় ৭-৮ আঘাত পেয়েছে বলে ওই বাসের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন।”
তিনি বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে বাসের চালক রাতে ঘুমায়নি, চলন্ত অবস্থায় চালক ঘুমিয়ে পড়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ওই বাসের চালক হেলপার পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করতে পারেনি পুলিশ।”
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের প্রশাসক ও উপ-উপাচার্য এম এয়াকুব আলী বলেন, “পরিবহন সংকুলানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কিছু পরিবহন ভাড়া নিয়ে চালাতে হয়। এক্ষেত্রে কার্যাদেশে কিছু শর্তাবলীও মেনে চলার বাধ্যবাদকতা আছে। তবে অনেকদিন আগের রেট কোটে এতো সস্তা দরে কেউ আর পরিবহন ভাড়া দিতে চাচ্ছে না। আমরা তাদের বিশেষ অনুরোধ করেছি, গাড়ি চালানোর জন্য।
“এই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানও ইতোমধ্যে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন যে, এতো অল্প টাকায় তারা আর গাড়ি চালাতে পারবেন না। এই সমস্যা সমাধানে আমরাও নতুন করে চিন্তা ভাবনা করছি। দেখা যাক কিভাবে কি করা যায়।”