Published : 17 Jun 2025, 02:29 PM
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকা থেকে দুইজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। যাদেরকে ‘বনদস্যু’ বলছে পুলিশ।
পরে আটকদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি একনলা বন্দুক ও একটি দা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের যতীন্দ্রনগর ও মীরগাং এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানান শ্যামনগর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির মোল্যা।
আটকদের একজন ওই এলাকার প্রয়াত নওশাদ গাজীর ছেলে নজির গাজী (৫৫) এবং অপরজন খুলনার কয়রা উপজেলার বৈকারী এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে দিদারুল ইসলাম (৩৮)।
স্থানীয় বাসিন্দা আকবর আলী, সিদ্দিক হোসেন ও ইসমাইল হোসেন জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে অপরিচিত পাঁচ থেকে সাতজন সুন্দরবন তীরবর্তী যতীন্দ্রনগর বাজারে আসেন। এ সময় তারা গন্তব্যে যেতে মাইক্রোবাস অথবা ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের সন্ধান করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে সন্দেহ হলে তাদের নাম-পরিচয়সহ সুন্দরবন এলাকায় আসার কারণ জানতে চাইলে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় বাজারে লোকজন ধাওয়া দিয়ে দিদারুলকে আটক করেন। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল দিদারুলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পরে মীরগাং এলাকা থেকে অপর ব্যক্তি নজিরকে আটক করেন স্থানীয়রা। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি মাছ ধরার নৌকা থেকে একটি একনলা বন্দুক ও একটি দা উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বলেন, “জোনাব বাহিনী এখন সুন্দরবনে খুব বেশি তৎপর না। বরং নজির ও তার ছেলে আব্দুর রহিম, দিদারুলসহ মুন্সীগঞ্জ এলাকার কয়েকজনকে নিয়ে জোনাবের নামে সুন্দরবনে দস্যুতা চালায়।
“পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত মুন্সীগঞ্জের এক ব্যক্তির নৌকার জেলে হিসেবে দিদারুল সুন্দরবনে প্রবেশ করেন। প্রায় প্রতিটি জেলে নৌকা একাধিকবার দস্যুদের কবলে পড়লেও অজ্ঞাত কারণে ওই পরিবহন ব্যবসায়ীর কোনও নৌকা থেকে কাউকে উঠিয়ে নেওয়ার ঘটনা শোনা যায়নি।”
ওসি হুমায়ুন কবির মোল্যা বলেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তারা মাছ শিকারের ছদ্মবেশে সুন্দরবনে প্রবেশ করতেন বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে।