Published : 16 Jan 2025, 09:57 PM
ঢাকা থেকে বরিশালের গৌরনদীতে দাদাবাড়ি বেড়াতে গিয়ে শিশু খুনে জড়িত সন্দেহে ইউপি সদস্যসহ দুজনকে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়াও দুজনের ঘরে হামলা-ভাঙচুর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার শরিকল ইউনিয়নের মধ্য হোসনাবাদ গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয় বলে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া জানান।
আটকরা হলেন- শরিকল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোজাম্মেল হক চৌধুরী ও একই গ্রামের বাসিন্দা রুমান চৌধুরী।
এর আগে সকালে মধ্য হোসনাবাদ এলাকার বাসিন্দা ঢাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ইমরান সিকদারের ১০ বছর বয়সি শিশু সাফওয়ান শিকদারের লাশ উদ্ধার করা হয়।
বুধবার ঢাকা থেকে দাদাবাড়িতে আসা ওই শিশু দুপুরের পর নিখোঁজ হয়।
বৃহস্পতিবার ভোরে স্থানীয়রা গ্রামের একটি ডোবায় শিশু সাফওয়ানের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
ওসি বলেন, শিশুটির চোখে ও কানের নিচে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না পেলে বলা যাবে না।
সিআইডির ফরেনসিক টিম আলামত সংগ্রহ করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
শিশুর দাদা বারেক সিকদার বলেন, প্রতিবেশি লোকমান চৌধুরীর সঙ্গে জমির সীমানা নিয়ে তার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে। বুধবার দুপুরে লোকমানের ছেলে রুমানকে তার নাতির সঙ্গে কথা বলতে দেখেছেন স্থানীয়রা। শত্রুতার জের ধরে নাতিকে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, লাশ নিয়ে যাওয়ার পর শিশুর স্বজন ও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী লোকমান চৌধুরী ও রুমান চৌধুরীর ঘর ভাঙচুর করে। এছাড়া ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে মারধর করে। পরে র্যাব পুলিশ এসে ইউপি সদস্য ও রুমান চৌধুরীকে নিয়ে যায়। পরিস্থিতি শান্ত করেন তারা।
এ বিষয়ে ওসি ইউনুস মিয়া বলেন, “এলাকাবাসী দুইজনকে আটক করে তাদের কাছে দিয়েছেন। আটক ইউপি সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত শিশুর পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ দেয়নি।”
আটকের পর ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বিনা কারণে তাকে এলাকার কতিপয় ব্যক্তি মারধর করে গুরুতর আহত করেছে। তিনি এ ঘটনায় জড়িত নন।
আরো পড়ুন:
দাদার বাড়ি বেড়াতে এসে নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল ডোবায়