Published : 25 May 2025, 03:28 PM
সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ইজিবাইক, আলমসাধু ও মোটরসাইকেলকে দ্রুতগামী বাস চাপা দিলে এক শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ৯জন যাদের মধ্যে গুরুতর ছয় জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের ধুলিহর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি শামিনুল ইসলাম।
নিহত দেড় বছরের শিশু মোস্তাকিমের বাড়ি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার শ্রীকন্ঠপুর গ্রামে। এ দুর্ঘটনায় শিশুটির মা শাপলা খাতুন (২৫) ও নানী নাজমা খাতুনও গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ভর্তি আছেন।
এছাড়া গুরুতর আহত হয়ে একই হাসপাতালে ভর্তি আছেন- সাতক্ষীরা সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের আব্দুর রহিম সরদারের ছেলে রাশেদ আলী (৪০), আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুরের রজব আলী সরদারের ছেলে মোজাম্মেল সরদার (৩২), খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার লক্ষীখোলা গ্রামের আব্দুল আজিজের মেয়ে ফাতেমা খাতুন, লাউড়ী গ্রামের ইব্রাহিম গাজীর ছেলে হযরত আলী (৪৫)। তারা সবাই ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের যাত্রী।
এ দুর্ঘটনায় আহত পথচারী নাজমুলকে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন আলমসাধুর চালক মুজাম্মেল হোসেন। এছাড়া মোটরসাইকেলের চালক গুরুতর আহত হলেও তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আলমসাধু চালক ও আহত মুজাম্মেল হোসেন বলেন, আশাশুনির দিক থেকে সাতক্ষীরাগামী দ্রুতগতির বাসটি রামচন্দ্রপুর মোড়ে আসলে তার আলম সাধুসহ ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এ সময় বাহনগুলো দুমড়ে মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা মোটরসাইকেল চালককে নিয়ে যায়।
আর বাসের চালক ও তার সহযোগীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে সেখানে পুলিশ আসে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার রাশেদ খান বলেন, দুর্ঘটনার পর সাতজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে শিশুটিকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। তার মা ও নানীসহ আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ছয়জনের চিকিৎসা চলছে।
ওসি শামিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে হতাহতদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় আটজনের বেশি আহত হলেও গুরুতর আহত ছয়জন।
এছাড়া ঘটনায় জড়িত বাসটিকে জব্দ করে সাতক্ষীরায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে বাসচালক ও তার সহযোগীরা পালিয়ে গেছে বলে জানান ওসি।