Published : 17 Feb 2025, 09:50 PM
সংস্কারের জন্য বেশি সময় ব্যয় না করে দেশের মানুষ এখন ভোট দিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান।
সোমবার বিকালে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা বিএনপির সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এই সামবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে আগতদের উদ্দেশে মঈন খান বলেন, “আপনারা কি ভোট না দিয়ে সংস্কার নিয়ে ডক্টরি গবেষণায় পড়ে থাকতে চান?” জবাবে জনতা ‘না, না’ বলেন।
বিএনপি নেতা বলেন, “আমরা ভোট দিতে চাই। আমরা ছয় মাস ছয় বছর সংস্কারে পড়ে থাকতে চাই না। আমরা ভোটের অধিকারে বিশ্বাস করি। ভোটের অধিকার চাই। এটা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ চায়। জনগণের প্রত্যাশা অবিলম্বে পূরণ করতে হবে।”
“বছরের পর বছর ধরে বিএনপিসহ সমমনা গণতন্ত্রকামী দল সমন্বিত হয়ে এক সঙ্গে আন্দোলন করেছি। জুলম-নির্যাতন সহ্য করেছি। সারাদেশে ৫০ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা করা হয়েছিল। মঞ্চে যারা বসে আছেন তাদের জিজ্ঞাসা করুন, তারা অত্যাচারের স্বীকার হয়েছেন।”
তিনি বলেন, “সেই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ছাত্র-জনতা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু করে। কোটা আন্দোলন, আমরা এই পরিস্থিতি তৈরি করেছি। এটা বুঝতে হলে, এটা উপলদ্ধি করতে হবে। স্বৈরাচারি সরকারকে বিদায় নিতে সেই পরিস্থিতি আমরা তৈরি করেছি। আমরা দেয়াশলাই জ্বালিয়ে দিয়েছিলাম। সেই দেয়াশলাইয়ের আগুনে স্বৈরাচারি সরকার জ্বলে-পুড়ে খাক হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে একটা অন্তর্বর্তী সরকার সৃষ্টি হয়েছে। এটা উপলদ্ধি করতে হবে।”
বিএনপি নেতা বলেন, “যারা নতুন প্রজন্ম রয়েছেন, বিগত তিনটি নির্বাচনে ভোট দিতে পেরেছেন, পারেননি। তাহলে তারা নতুন প্রজন্ম হন কিভাবে? আপনারা কি আজকে অবিলম্বে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চান? দ্রব্যমূল্য রমজান মাসে যদি আকাশচুম্বি হয়, তাহলে বাংলাদেশে মানুষ শান্তি পাবে না। বাংলাদেশের মানুষ শান্তি চায়।”
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবালের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, ঢাকা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো, সহসাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাঈদ সোহরাব, সদস্য এস এম ওবায়দুল হক নাসির।