Published : 07 Jun 2025, 02:41 PM
দেশের বিভিন্ন জেলায় শনিবার ঈদুল আজহার প্রধান জামাতে দেশের মানুষের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। পরে পশু কোরবানি দেওয়া হয়।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
কুমিল্লা
নগরীর মোগলটুলিতে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে শনিবার সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা হাফেজ মোহাম্মদ ইব্রাহীম।
নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা এবং ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলিমদের ওপর আল্লাহর রহমত প্রার্থনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। জামাতে অংশ নেন পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ।
জামাতে কুমিল্লা জেলার বাসিন্দাদের ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য দেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার। নামাজের পরই হয় পশু কোরবানি।
কুমিল্লায় উৎসবমুখর পরিবেশে ৪ হাজার ১৮টি ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর মধ্যে ঈদগাহ ময়দানে ২ হাজার ১০৭ টি এবং মসজিদে ১ হাজার ৯১১টি জামাত হয় বলে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে।
ময়মনসিংহ
এ জেলায় ঈদুল আজহার প্রধান জামাত হয়েছে শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় নগরীর কাঁচিঝুলি আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে। ইমামতি করেন মুফতি হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মামুন। একই মাঠে দ্বিতীয় জামাত হয় সকাল সাড়ে ৮টায়।
এছাড়া নগরীর বড় মসজিদ, আকুয়া বাইপাস মাদানীনুর মার্কাস মসজিদ, মোমেনশাহী সেনানিবাস, পুলিশ লাইন্স, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ জেলার ১৩টি উপজেলায় প্রায় আড়াই হাজার স্থানে ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নামাজের নির্ধারিত সময়ের আগেই লোকজনকে জায়নামাজ নিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে দেখা যায়। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া হয়। পরে পশু কোরবানি করা হয়।
কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল আজহার ১৯৮তম জামাত অনুষ্ঠিত
হয়েছে। এতে কিশোরগঞ্জসহ দেশের দূর-দূরান্তের হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন।
শনিবার সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ঈদ জামাত পরিচালনা করেন জেলা শহরের বড় বাজার মসজিদের খতিব মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
রেওয়াজ অনুযায়ী নামাজ শুরুর আগে বন্দুকের ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। এর মাধ্যমে ঈদগাহের সবাইকে নামাজের প্রস্তুতি নেওয়ার সংকেত দেওয়া হয়।
নামাজ শেষে দেশের সমৃদ্ধি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
জামাতে অংশগ্রহণ করতে সকাল থেকেই মানুষের আগমন শুরু হয় জেলা শহরের পূর্ব প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত শোলাকিয়া ঈদগাহে।
ঈদ জামাতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে ‘শোলাকিয়া স্পেশাল’ নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয় সরকারিভাবে। ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে এ দুটি ট্রেন আসে। জামাত শেষে ট্রেন দুটি জামাতে অংশ নেওয়া মানুষদের নিয়ে আবার গন্তব্যে ফিরে যায়।
সাতক্ষীরা
শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে শনিবার সকাল ৭টায় ও কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদুল আজহার নামাজ হয়।
শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে মাওলানা আলতাফ হোসেন ও ঈদগাহ ময়দানে হাফেজ খতিব আব্দুল খালেক ইমামতি করেন।
দোয়া ও মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহ জন্য দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়।
পরে একই স্থানে একাডেমি মসজিদে ঈদের দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮ টায় হয়। ইমামতি করেন মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন হুযাইফী।
গোপালগঞ্জ
গোপালগঞ্জ কেন্দ্রীয় পৌর ঈদগাহ ময়দানের ঈদের প্রধান নামাজ হয় শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায়। ইমামতি করেন কোর্ট মসজিদে ইমাম মাওলানা হাফিজুর রহমান।
সকাল ৮টায় থানাপাড়া জামে মসজিদে ঈদের দ্বিতীয় নামাজ ও কোর্ট মসজিদে তৃতীয় নামাজ হয়।
এ ছাড়া মুকসুদপুর, কাশিয়ানী, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলাসহ জেলার শতাধিক মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে । পরে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত হয়।
নামাজ শেষে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে শুভেচ্ছা বিনিময় করে নানা বয়সের মানুষ।
ঈদ উপলক্ষে গোপালগঞ্জকে বর্ণিল সাজে সাজনো হয়েছে। অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আদালতসহ শহরের দর্শণীয় স্থানে আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে।
মাগুরা
নোমানী ময়দানে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে শনিবার সকাল ৮টায় ঈদুল আজহার প্রধান জামাতে শত শত মানুষ অংশ নেন। নামাজ শেষে একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করেন।
মাগুরা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা হাবিবুর রহমান নামাজ পরিচালনা করেন।
ঈদের প্রধান জামাতে নামাজ আদায় করেন মাগুরা জেলা প্রশাসক অহিদুল ইসলাম।