Published : 23 May 2025, 03:14 PM
বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)-এর চেয়ারম্যান এম আসাদুজ্জামান আর নেই। তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।
শুক্রবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের মুখপাত্র ও জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শংকর কে বিশ্বাস।
চিকিৎসক শংকর কে বিশ্বাস বলেন, এম আসাদুজ্জামান নগরীর উপশহরের নিজ বাসায় ছিলেন। সকালে তিনি অসুস্থ্ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।
“হাসপাতালে পৌঁছার আগেই তিনি মারা যান।”
এম আসাদুজ্জামান বিএনপির সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হক ও সাবেক আইজিপি এনামুল হকের ভাই। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কেল্লাবারুই পাড়ায় ১৯৪৯ সালের ১ নভেম্বর সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করে ড. আসাদুজ্জামান। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
এদিকে আসাদুজ্জামানের মৃত্যুতে বিএমডিএ কর্মকর্তারাসহ বিভিন্ন মহল থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক সাইফুল ইসলাম হীরক বলেন, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও বিশিষ্ট কৃষি ও পানি ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ আসাদুজ্জামান বাংলাদেশের সেচ, কৃষি, ও গ্রামীণ উন্নয়ন ক্ষেত্রে এক অনন্য অবদান রেখে গেছেন।
তার উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা ও প্রযুক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি বরেন্দ্র অঞ্চলকে মরুভূমি থেকে শস্যভাণ্ডারে রূপান্তর করেছে, যা আজ বরেন্দ্র মডেল হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসিত।
“আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।”
বিএমডিএ পরিচালক সাইফুল ইসলাম হীরক বলেন, “ড. এম আসাদুজ্জামান একজন দক্ষ, সৎ ও উদ্ভাবনী চিন্তাধারার প্রশাসক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে বরেন্দ্র অঞ্চলের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অপূরণীয় ক্ষতি হলো।”
শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার কে এম জুয়েল।