Published : 15 May 2025, 05:30 PM
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় করা বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় জামিন পাওয়া ২৭ বিডিআর সদস্য কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
জামিন আদেশের তিন দিন পর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে তারা একে একে কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন বলে জানান কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ আল মামুন।
এ নিয়ে সকাল থেকে কারা ফটকের সামনে মুক্তি পাওয়াদের আত্মীয় স্বজনরা ভিড় করেন। এ সময় সেখানে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর আগে সোমবার ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ইব্রাহিম মিয়া ৪০ আসামির জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন বলে জানান আদালতের প্রধান কৌঁসুলি বোরহান উদ্দিন।
জামিন পাওয়া ৪০ জনের মধ্যে সকালে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১১ জন, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ থেকে পাঁচজন এবং কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ থেকে ১০ জন মুক্তি পেয়েছেন। এ ছাড়া বুধবার এই ইউনিট থেকে আরও এক বিডিআর সদস্য জামিনে মুক্তি পান।
কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার কেরাণীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় ৪০ জনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া ১৭৮ জন বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় জামিন পেয়েছিলেন। এ নিয়ে জামিন পেলেন মোট ২১৮ জন। সাবেক বিডিআর সদস্য ও তার স্বজনরা জামিনে মুক্তি পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
জেল সুপার মোহাম্মদ আল মামুন বলেন, বুধবার বিকালে বন্দি ২৭ সাবেক বিডিআর সদস্যের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। পরে কাগজ পত্র যাচাই-বাছাই করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা।
সেই বিদ্রোহের পর সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিডিআরের নাম বদলে যায়, পরিবর্তন আসে পোশাকেও। এ বাহিনীর নাম এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি।
বিদ্রোহের বিচার বিজিবির আদালতে হলেও হত্যাকাণ্ডের মামলা বিচারের জন্য আসে প্রচলিত আদালতে। এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে মুক্তি আটকে যায় ৪৬৮ বিডিআর সদস্যের। তাদের মধ্যে ১৭৮ জন জামিন পান গত ১৯ জানুয়ারি। এরপর বৃহস্পতিবার আরও ৪০ জনের জামিন হলো।
পিলখানা হত্যাকাণ্ড: ১৭৮ বিডিআর জওয়ানের মুক্তিতে বাধা নেই
পিলখানা হত্যাকাণ্ড: বিস্ফোরক মামলায় দেড় শতাধিক আসামির জামিন