Published : 29 Mar 2025, 07:04 PM
বগুড়ায় অ্যালকোহল পানে দুইজনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এতে অসুস্থ হয়ে আরও দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার রাতে শহরের ঠনঠনিয়া বটতলা এলাকার এ ঘটনা ঘটে বলে জানান বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দিন।
মৃতরা হলেন- বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া হাজী পাড়ার প্রয়াত মোয়াজ্জেম হোসেনের পালিত ছেলে আওরঙ্গজেব চিনতু (৩৫) এবং ঠনঠনিয়া বটতলা এলাকার আবু তালেবের ছেলে রাসেল (৩০)।
অসুস্থ ঠনঠনিয়া বটতলার প্রয়াত আমজাদ হোসেনের ছেলে পিলু (৫৬) এবং একই এলাকার জয়দেব দাসের ছেলে সনি দাস (৩০) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পিলু বলেন, “বৃহস্পতিবার বিকালে রাসেল শহরের ১ নম্বর রেল ঘুমটি থেকে এক বোতল অ্যালকোহল কিনে আনেন। পরে চারজন মিলে একসঙ্গে পান করেন। আর রাতে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন।”
তিনি বলেন, পুলিশের ভয়ে হাসপাতালে ভর্তির সময় ডায়রিয়ায় আক্রান্তের কথা বলে ভর্তি হয়েছেন তারা।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) সাইফুর শাহীন বলেন, “পিলু ডায়রিয়ায় আক্রান্তের কথা বলে ভর্তি হয়েছেন। তবে শ্বাসকষ্ট ও পেটে ব্যথা থাকায় তাকে মেডিসিন বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি এখনও শঙ্কামুক্ত না।”
তবে পিলু অ্যালকোহল পান করে অসুস্থ হয়েছেন কি-না তা পরীক্ষার পর জানা যাবে বলে জানান এই চিকিৎসক।
অপর অসুস্থ সনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, “চিনতু ও রাসেল মারা যাওয়ার তথ্য তাদের কাছে নেই। সম্ভবত তারা রাস্তাতেই মারা গেছেন। তবে সনি এখানে ভর্তি আছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। তবে তার সমস্যা এখনি বলা যাচ্ছে না।”
ওসি এস এম মঈনুদ্দিন বলেন, অতিরিক্ত মদ্যপানে দুইজনের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাদের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। মারা যাওয়া দুইজনের পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে সহযোগিতা না করে খারাপ ব্যবহার করেছেন।
“তারা পুলিশকে কোনো তথ্য দেননি। তবে শনিবার বেলা ৩টার মধ্যে দুইজনের লাশ পরিবারের পক্ষ থেকে দাফন করা হয়েছে।”
হাসপাতাল থেকে দুইজনের মৃত্যুর বিষয়ে পুলিশকে অবহিত না করায় এখনি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না বলে জানান ওসি।