Published : 29 May 2025, 01:56 PM
নওগাঁয় হাঁসুয়া দিয়ে স্ত্রীর হাত কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করার পর স্থানীয়দের পিটুনিতে স্বামী নিহত হয়েছেন।
শহরের আনন্দনগর এলাকায় বুধবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী জানান।
নিহত ৩২ বছর বয়সী সুমন নওগাঁ সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের দুবলহাটি গ্রামের মোহাম্মদ বাবুর ছেলে। তিনি পেশায় গৃহনির্মাণ শ্রমিক ছিলেন।
এ ঘটনায় হাত বিচ্ছিন্ন হওয়া মৌয়ূরীকে (২৪) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, শহরের আনন্দনগর এলাকার আব্দুস সামাদের মেয়ে মৌয়ূরীর সঙ্গে তিন-চার বছর আগে সুমনের বিয়ে হয়। এরপর থেকে সুমন স্ত্রীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি থাকতেন। সুমন নেশাগ্রস্ত ছিলেন হয় এবং প্রায়ই এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়াঝাঁটি হতো। তিনি মৌয়ূরীকে সাংসারিক কোনো খরচও দিতেন না।
বুধবার রাতে সাড়ে ৮টার দিকে মৌয়ূরীর সঙ্গে সুমনের ঝগড়া ঝগড়া শুরু হয়। সুমন তখনও নেশাগ্রস্ত ছিলেন। এক পর্যায়ে হাঁসুয়া দিয়ে স্ত্রীর গলায় এবং হাতে কোপ দেন তিনি। এতে মৌয়ূরীর বাম হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা সুমনকে গণপিটুনি দেন।
পরে এলাকার লোকজন ও পুলিশ সদস্যরা ময়ূরীকে উদ্ধার করে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে মৌয়ূরীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
ওসি নূরে আলম বলেন, পুলিশ আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। ওই নারীর স্বামী মারধরে মারা যান। সুমনের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আর মৌয়ূরীর হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, সুমনের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কেউ যোগাযোগ করেনি। তার মরদেহ নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা শেষে লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।