Published : 26 May 2025, 08:18 PM
সিলেটের মুরারিচাঁদ কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে ‘দলবেঁধে ধর্ষণের’ মামলায় বাদী পূর্ণ সাক্ষগ্রহণ করেছে আদালত।
সোমবার দুপুরে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকারের আদালতে ভুক্তভোগীর স্বামী ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির মামলায় সাক্ষ্য দেন বলে জানিয়েছেন আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মো. আবুল হোসেন।
তিনি বলেন, তবে আজ আদালতে ভার্চুয়ালি ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য গ্রহণের কথা থাকলেও হয়নি। আগামী তারিখে ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য গ্রহণ হবে।
এর আগে ১৯ মে মামলার বাদী আংশিক সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। সেদিন ছাত্রাবাসের তৎকালীন দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জীবন কৃষ্ণ আচার্য্যও সাক্ষ্য দেন।
আইনজীবী আবুল হোসেন বলেন, আগামী সপ্তাহের যেকোনো দিন মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক তরুণীকে (২০) ‘দলবেঁধে’ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় তার স্বামী বাদী হয়ে মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং দুজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন।
ঘটনার পর আসামিরা পালিয়ে গেলেও তিন দিনের মধ্যে ছয় আসামি ও সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ ও র্যাব। পরবর্তী সময়ে আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গ্রেপ্তারের পর আসামিদের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষায় আটজন আসামির মধ্যে ছয়জনের ডিএনএর মিল পাওয়া যায়। ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর আটজনের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা ও মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।
মামলার আসামিরা হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ও মাহফুজুর। আট আসামিই বর্তমানে কারাগারে। তারা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ‘দলবেঁধে ধর্ষণ’, ‘ভুক্তভোগী’ তরুণী ও বাদী সাক্ষ্য দেননি
এমসি কলেজে ধর্ষণ: দুই অভিযোগের বিচার এক আদালতে করার নির্দেশ
এমসি কলেজে ধর্ষণ: ৮ আসামির বিচার শুরুর আদেশ
এমসি কলেজে ধর্ষণ: বিচারিক তদন্তে কমিটি করে দিল হাই কোর্ট
সিলেটে এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার