Published : 09 Mar 2016, 12:36 AM
আহত চেয়ারম্যান মজিবর রহমানকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক একেএম শামীমুল হক সিদ্দিকী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে বাউফলের বিভিন্ন এলাকার উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিরসনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ক সভা চলছিল।
“এ সময় কতিপয় উত্তেজিত ছেলেরা এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।”
জেলা প্রশাসক হামলাকারীদের নাম বলেননি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত নওমালা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজাদা হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, ইউএনওর সভাপতিত্বে সভা চলার সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইব্রাহীম ফারুকের নেতৃত্বে কতিপয় নেতাকর্মী সভাকক্ষে আকস্মিক হামলা চালায়।
“এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব হাওলাদার চেয়ারম্যান মজিবরকে লক্ষ করে চেয়ার ছুড়ে মারেন।”
ঘটনার প্রতিবাদ করলে শাহাজাদা ও দাসপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীরকেও হামলাকারীরা মারধর করে বলে শাহজাদা অভিযোগ করেন।
তবে ইউএনও মো. আবদুল্লাহ আল মাহামুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঘটনা তেমন কিছুই না, চেয়ারম্যান মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার মো. সাহেব আলী পাঠান জানান, দলীয় কোন্দলের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
এ সময় ‘হামলাকারী’ ইব্রাহীম ফারুককে আটক করে একটি কক্ষে রাখা হলেও তার পক্ষের নেতাকর্মীদের তোপের মুখে কিছুক্ষণ পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ সুপার মো. মোসফিকুর রহমান বলেন, সভাকক্ষে একটু ঝামেলা হয়েছিল, তবে পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন আহত হওয়ার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব হাওলাদার দাবি করেন, পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে ইব্রাহীম ফারুক বক্তব্য দিচ্ছিলেন।
“এই নিয়ে সভায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। কাউকে মারধর করা হয়নি। একটু ঝামেলা হয়েছে মাত্র। তবে আমার সাথে কারও ঝামেলা হয়নি। যা শুনেছেন তা মিথ্যে, বানোয়াট।”
সোমবার রাতে এ উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সামসুল হক ফকিরের চাচাত ভাই আশরাফ ফকির (৪৫) নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন। বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ক সভায় এটা একটা প্রধান বিষয় ছিল।