Published : 02 Jun 2018, 08:44 PM
শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের দুটি (ক্রেন) উদ্ধারযান উল্টে যাওয়া গ্যাসবাহী ট্যাঙ্কারটি কোনো দুর্ঘটনা ছাড়াই নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয় বলে ফায়ার সার্ভিসের খুলনা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. আবুল হোসেন জানান।
উদ্ধারের পর ট্যাঙ্কারটি বিকালেই মংলা উপজেলার দিগরাজ এলাকায় যমুনা গ্যাস প্ল্যান্টে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় ওই মহাসড়কে প্রায় আধাঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
শুক্রবার রাত ৩টার দিকে মংলা থেকে বগুড়ায় যাওয়ার পথে সোনাতুনিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় খুলনা-মংলা সড়কে গ্যাসবাহী ওই ট্যাঙ্কারটি রাস্তার উপরে উল্টে পড়ে ফেটে গিয়ে সোনাতুনিয়া এলাকায় গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে।
এসময় লরির চালক আব্দুল করিম ও তার সহকারী শহীদুল্লাহ আহত হন। এরপর ওই এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও প্রশাসনের লোকজন সেখানে পৌঁছে বিশেষ সতর্ককতা জারি করে। লরিটি সরিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত ওই এলাকায় আগুনের ব্যবহার বন্ধ রাখতে মাইকিং করে প্রশাসন।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, মংলা বন্দরের দুটি আধুনিক যান ব্যবহার করে উল্টে যাওয়া ট্যাঙ্কারটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর তা উদ্ধার করা হয়েছে। লরি থেকে যে গ্যাস বের হচ্ছিল তা বালি ও ফোম ব্যবহার করে বন্ধ রাখার চেষ্টা করা হয়।
“পরে কোনো দুর্ঘটনা ছাড়াই ট্যাঙ্কারটি নিরাপদে মংলা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।”
রামপাল থানার ওসি শেখ লুৎফর রহমান বলেন, “গ্যাস ছড়িয়ে পড়ায় পর রামপালের সোনাতুনিয়া এলাকায় সতকর্তা জারি করে মাইকিং করা হয়। ট্যাঙ্কারটি সরিয়ে নেওয়ায় সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে।”