Published : 10 Jun 2019, 01:14 AM
এই শিক্ষকরা হলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমার দাস (৪৮) এবং প্রধান শিক্ষক আজাহারুল ইসলাম (৫৫)।
তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন অইনে শনিবার রাতে নবীনগর থানায় মামলা করেন এই শিক্ষার্থীর ভাই।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, প্রদীপ কুমার দাস দীর্ঘদিন ধরে তার কাছে প্রাইভেট পড়তে আসা মেয়েদের নানা কৌশলে যৌন নিপীড়ন করে আসছেন। এটা ফাঁস করলে পরীক্ষায় ফেল করানোর হুমকি দেন তিনি।
শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের কাছে এ বিষয়ে একাধিকবার অভিযোগ দিলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে সহকর্মীর পক্ষেই অবস্থান নিয়েছিলেন বলে মামলায় বলা হয়।
এতে আরও বলা হয়, গত ৩০ মে প্রাইভেট পড়া অবস্থায় বাদীর বোনকে যৌন হয়রানি করেন শিক্ষক প্রদীপ।
নবীনগর থানার ওসি রনোজিত রায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তদন্ত ও গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।”
মামলার পর শিক্ষক প্রদীপ ও প্রধান শিক্ষক আজাহারুল ইসলামের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
বিদ্যলয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহেল বলেন, “শুনেছি একটি মামলা হয়েছে, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি।
“তবে এটি নিন্দনীয় কাজ। আমার উদ্যোগে এমপি মহোদয়কে অবগত করে আজ ম্যানেজিং কমিটির বৈঠক করেছি। বৈঠকে আমরা শিক্ষাবোর্ডের নীতিমালা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্বান্ত গ্রহণ করেছি।”
স্থানীয় সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল বলেন, “বিষয়টি আমি অবগত হয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছি। অন্যায়কারী যেই হোক, তার রেহাই নেই। প্রধান শিক্ষক তার ছাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাই তারও শাস্তি হওয়া উচিত।”