Published : 28 May 2025, 12:20 AM
জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড থেকে ‘বেকসুর’ খালাসের প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিলের সময় গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রশিবিরের হামলার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার রাত ৮টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বর ও পরিবহন মার্কেটের সামনে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্যের ব্যানারে’ শিবিরের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ জোটের নেতাকর্মীদের।
এতে তাদের কয়েকজন আহত হওয়ার দাবিও করেছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মাহবুবুর রহমান বলেন, “উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ করেছেন। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নেব।”
এদিন রাতে ক্যাম্পাসে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর জোটের নেতাকর্মীরা জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের প্রতিবাদে মশাল মিছিল বের করেন। একইসময়ে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্যের ব্যানারে’ ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরাও মিছিল বের করেন।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহবায়ক ফুয়াদ রাতুলের দাবি, তাদের কর্মসূচি ছিল সন্ধ্যা ৭টায়। হঠাৎ ‘শাহবাগ বিরোধী ঐক্যের ব্যানারে’ ছাত্রশিবির মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এ কারণে তারা এক ঘণ্টা পর মিছিল শুরু করেন।
ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা দুই দফা হামলা চালিয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় পরিবহন মার্কেটের সামনে প্রথম আমাদের ওপর হামলা করা হয়। পরে মিছিল বের করার পর বুদ্ধিজীবী চত্বরে দ্বিতীয় দফায় হামলা করা হয়েছে। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হন।”
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে শাহবাগবিরোধী ছাত্র ঐক্যের সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, “ছাত্র জোটের কর্মীরা মশাল মিছিল নিয়ে আমাদের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এসময় তারা আমাদের ওপর মশাল ব্যবহার করে। এতে দুইজন আহত হন।”
হামলার অভিযোগের বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোজাহিদ ফয়সাল বলেন, “এটা আদতে ছাত্রশিবিরের কোনো প্রোগ্রাম নয়। এটা শাহবাগবিরোধী ঐক্যের প্রোগ্রাম ছিল।
“এটি যেহেতু ঐক্য, সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতারা অংশ নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় সেখানে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেছে। হাসিনাকে ফ্যাসিবাদী ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি করার জন্য ২০১৩ সালে তাদের যে ভূমিকা, এটির বিরুদ্ধেই আজকের (মঙ্গলবার) কর্মসূচি ছিল।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা কনক কুমার পাঠক বলেন, “খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে বলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।”