Published : 25 Jan 2025, 10:22 PM
গেল বছরের অগাস্টের শেষ দিকে ফেনীতে বন্যায় নদীগর্ভে বিলিন হওয়া সোনাগাজীর মুছাপুর রেগুলেটর পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
শনিবার দুপুরে উপজেলার আদর্শগ্রাম এলাকায় এক মানববন্ধন পরবর্তী সংক্ষিত সমাবেশে তারা এ দাবি জানান।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কুয়েত প্রবাসী নাছির উদ্দিন।
বক্তব্য দেন বিএফ কমার্শিয়াল লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান কবির আহমেদ, আল হেলাল একাডেমির সহকারী প্রধান শিক্ষক আবদুল হক, সেনা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মহি উদ্দিন, আবদুল কাইয়ুম নিশান, বেলায়েত হোসেন মিলন, আবু ইউছুপ, মো. নুরনবী, মো. খোকন।
গেল বছরের ২০ অগাস্ট দুপুর থেকে ফেনীতে বন্যা শুরু হয়। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মাথায় তা ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলা শুরুতে বন্যা কবলিত হলেও পরে ফেনী সদর, সোনাগাজী ও দাগনভূঞাতেও ছড়িয়ে পড়ে।
ওই বন্যায় ২৯ জনের মৃত্যুর তথ্য দেয় জেলা প্রশাসন। ১১ লাখের বেশি মানুষ এবং ৯৫ শতাংশ এলাকা বন্যায় দুর্গত হয়। এছাড়া কৃষি, মৎস্য, প্রাণি সম্পদ, ঘরবাড়িসহ সব খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়। বন্যায় তীব্র পানির স্রোতে মুছাপুর রেগুলেটরটি ফেনী নদীতে বিলিন হয়ে যায়।
এ রেগুলেটরটি পুনর্নির্মাণের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা বলেন, গেল বছর স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় তীব্র পানির স্রোতে ফেনী নদীর (নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ ও ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার সংযোগ) মুছাপুর রেগুলেটরটি নদীতে বিলিন হয়ে যায়। এরপর থেকে সোনাগাজী ও কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদ তীব্র ভাঙনের মুখে পড়ে। নদীতে হারিয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
বক্তরা আরও বলেন, মুছাপুর রেগুলেটর পুনর্নির্মাণ করা হলে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও লক্ষ্মীপুর জেলার বিস্তীর্ণ জনপদ নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে। না হলে চারটি জেলার বৃহদাংশ নদীতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।