Published : 27 May 2025, 10:03 AM
বাগান বন্ধের আগে বিনা বেতনে কাজ করেছেন চার মাস, তারপর পাঁচ মাস ধরে বন্ধ হয়ে আছে বাগান- এই সাড়ে নয় মাসে কোনো বেতন-রেশন পাননি মৌলভীবাজারের ফুলতলা বাগান ও সংশ্লিষ্ট আরেকটি ফাঁড়ি বাগানের প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক; যাদের জীবন চলেই মূলত বাগানকে কেন্দ্র করে।
জুড়ি উপজেলার ফুলতলা ও এলবিন টিলা ফাঁড়ি বাগানের শ্রমিকদের অবস্থা এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে, শ্রমিকরা যাতায়াত ভাড়া দিয়ে বাইরে কাজে যাবেন এমন পয়সাটাও তাদের পকেটে অনেক সময় থাকে না। বিদ্যুৎহীন অন্ধকার কলোনিতে তারা খেয়ে না খেয়ে পরিবার নিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও বন্ধ হয়ে গেছে।
বাগান মালিক মোহাম্মদ রফিক সপরিবারে লন্ডনে রয়েছেন। একেবারে অভিভাবকহীন অবস্থায় ভরা মৌসুমেও বাগানের নতুন চা পাতা উত্তোলনের কোনো উদ্যোগ তো নেই-ই; উপরন্তু ২৫ থেকে ৩০ হাজার কেজি চা পাতা নষ্ট হচ্ছে। যেন দেখার কেউ নেই!
আক্ষেপ করে বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি রবি বুনার্জি বলছিলেন, “এখানে শ্রমিকরা টাকা ছাড়া ১৬ সপ্তাহ কাজ করেছেন। যাতে বেতন না হলেও বাগানটি চলে। কিন্তু ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর থেকে বাগান পুরোদমে বন্ধ।
“ফুলতলা চা বাগানে স্থায়ী শ্রমিক ৮৬৪ জন এবং ফুলতলার ফাঁড়ি বাগান এলবিন টিলায় ৪৩৬ জন। অস্থায়ীভাবে আছে আরও তিন থেকে ৪০০ শ্রমিক। পোষ্যসহ দুই বাগানের বাসিন্দা প্রায় ১০ হাজার।”
তিনি বলেন, “শ্রমিকদের এখন আর বাগান দিয়ে বাঁচার কোনো উপায় নেই। ঘরে ঘরে অভাব, দুর্ভিক্ষ। সরকার বা চা বোর্ড উদ্যোগ না নিলে এই বাগান রক্ষা করার উপায় নেই।”
বাগানের ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন চৌধুরী অসহায়ের মত বলছিলেন, “বাগান চলতে না পারার অনেক কারণ আছে। তার মধ্যে এখন যেটা সবচেয়ে বড় সমস্যা সেটা হচ্ছে, আমাদের মালিক লন্ডনে অসুস্থ, তার দুই ছেলে একই সময়ে অসুস্থ হয়েছেন। উনার মেয়ে এসে কিছুদিন দেখেছেন। পরে উনিও লন্ডনে চলে গেছেন। উনার পরিবারের কেউ নেই যে, বাগানটি পরিচালনা করবেন। তারপর বাগান চালানোর মত পুঁজিও উনার নেই। ফলে উনি বিকল্প চিন্তা করছেন।”
এ অবস্থার মধ্যে মঙ্গলবার এই বাগানের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য চা বোর্ড কর্মকর্তা, চা শ্রমিক, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জুড়ী উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে বৈঠকে বসবেন। সেই বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে আছেন সবাই। সেখানে বাগানটি চালু করার কোনো সিদ্ধান্ত আসে কি-না?
শ্রমিকদের অজানা ভবিষ্যৎ
সংকট শুধু ফুলতলা চা বাগানের নয়। ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর সিলেট অঞ্চলের অনেকগুলো চা বাগানের শ্রমিকই এমন দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। সরকারি মালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানির অধীন ১২টি বাগানের শ্রমিক দীর্ঘদিন ধরে বেতন পাননি। প্রায় দুই মাস তাদের বাগান ও কারখানা বন্ধ ছিল।
সিলেটের বুরজান চা বাগানের শ্রমিকরাও বেতন পাচ্ছেন না। তাদেরকে এক সপ্তাহের বেতন দিয়ে কাজে ফেরানো হয়েছে। এখন প্রশাসন, চা শ্রমিক ও চা বোর্ডের সদস্যরা মিলে সেই বাগান চালাচ্ছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় নানা সংকটে নিমজ্জিত হয়ে বন্ধ হয়েছে ফুলতলা চা বাগানও। বাগানটি ১৮৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত। এটি একটি প্রাচীন বাগান। পরে এর দায়িত্ব নেয় ‘দি নিউ সিলেট টি এস্টেট’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রধান কার্যালয় সিলেটের খাদিমনগরে। টি বোর্ডের মান অনুযায়ী, এটি ‘এ’ গ্রেডের বাগান।
এই বাগানেই দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেন শিবানী সাঁওতাল। অসুস্থ স্বামী আর দুই সন্তানকে নিয়ে থাকেন বাগানের মহাবীর মন্দির লাইনে। সপ্তাহের শুরুতে সেখানেই তার সঙ্গে কথা হয়।
শিবানী সাঁওতাল বলছিলেন, “বেতন ছাড়া ১৬ সপ্তাহ কাজ করেছি। তবু বাগানটি চালু থাকুক। শ্রমিকরা পাতা তুলেছে। কিন্তু ফ্যাক্টরি বন্ধ। একসময় আর পারা গেল না। না খেয়ে আর কত কাজ করা যায়। তাই সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিল আর পাতা তুলে লাভ নেই। ডিসেম্বরের মাঝ থেকে কোনো কাজ নেই, রোজগার নেই।
বাগান বন্ধ থাকায় কী সমস্যা হচ্ছে জানতে চাইলে শিবানি বলেন, “সবটাই সমস্যা। স্বামী অসুস্থ কাজ করতে পারেন না। আমার উপরে সংসার। বাইরে মানুষের বাড়িতে কাজ করি। সবসময় সেই কাজও পাই না। টাকা থাকলে খাই, না থাকলে কচু-ঘেঁচু খাই।
“কষ্টের কথা বলে তো আর লাভ নেই। সবটাই কষ্ট। তারপরও যদি বাগানটা কোনোদিন খুলে, এই আশায় আছি।”
প্রায় একই কথা বলছিলেন এই লাইনের দুলাল সাঁওতাল। তিনি বলছিলেন, “কাজের জন্য দিনভর বিভিন্ন এলাকায় হাঁটি। দূরে যেতে গাড়ি ভাড়া দরকার। কষ্ট করে গাড়ি ভাড়া জোগাড় করে জুড়ি উপজেলা সদর বা কুলাউড়ায় গিয়ে কাজ না পেলে আবার ফিরে আসতে হয়। আর ভাড়া না থাকায় অনেক জায়গায় পায়ে হেঁটে যাই।
“ঘরে যখন কিছুই থাকে না তখন কচু সিদ্ধ করে ও কচুর মোড়া তুলে খেতে হয়। অচিরেই কোনো একটা ব্যবস্থা না হলে না খেয়ে মরা ছাড়া উপায়ন্তর নেই ভাই। আমরা ঘোর অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছি। সরকার আমাদের বাঁচাক।”
দুলাল সাঁওতাল, শিবানি সাঁওতালের সঙ্গে কথা বলতে বলতে মহাবীর মন্দির লাইন দিয়ে হাঁটার সময় অনেকেই বিবর্ণ চেহারা নিয়ে সামনে আসেন। চোখে-মুখে দুশ্চিন্তা আর অনিশ্চয়তার ছাপ।
বাগানের মাঝ লাইনের বাসিন্দা কুমরো শবর কুশল বিনিময়ের পর একরাশ দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলছিলেন, “ভালো থাকি কিভাবে? বাগান বন্ধ, কাজ নেই, পকেটে টাকা নেই। অবস্থা এখন এমন দাঁড়িয়েছে ফেরিওয়ালাও এখন আর আসে না। তারাও জেনে গেছে বাগানে কারো হাতে টাকা নেই। এখানে গেলে বেচাকেনা হবে না। অনেকে বাগানের শ্রমিকদের বাকি দিতে দিতে পুঁজিই হারিয়ে ফেলেছে।”
পুরো বাগান বিদ্যুৎহীন
বিল বকেয়া থাকার কারণে দেড় বছর আগেই ফুলতলা ও এলবিন টিলা ফাঁড়ি বাগানের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-পিডিবি। বাগান কর্তৃপক্ষ আর সেই সংযোগ চালু করতে পারেনি। বিকল্প হিসেবে পল্লী বিদ্যুৎ থেকে সংযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেছে বাগান কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু পিডিবি অনাপত্তিপত্র (এনওসি) না দেওয়ায় সেটিও আটকে যায়। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। ফলে বাগান এখন বিদ্যুৎহীন, অন্ধকারে নিমজ্জিত।
বাগানের মাঝ লাইনের একজন শ্রমিক নিজের ছোট্ট টিনের চালা ঘর দেখিয়ে বলছিলেন, “দেখেন, এটাকে কী ঘর বলা যায়। একটু বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে। তার উপর দেড় বছর ধরে বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুতের লাইন কাটায় পুরো বাগানের মানুষ অন্ধকারে আছি। বিদ্যুতের জন্য এক বছরের বেশি সময় আগেই ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়েছে।
“বাগানে অনেক ছেলে-মেয়ে মোবাইল চালায়। এখন সেটাও কেউ চালাতে পারছেন না। আমাদের বিপদ এখন সবদিক থেকে।”
টাকার অভাবে ফুলতলা বাগানের বাসিন্দা শাওন ভর এ বছর স্কুলে ভর্তি হতে পারেনি। সে বলছিল, তার বন্ধুদের মধ্যে যারা কষ্ট করে জানুয়ারিতে ভর্তি হতে পেরেছে তারাও এখন বেতন দিতে পারছে না। আর সবার ভাল পড়াশোনাও হচ্ছে না। কারণ, বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই, তাই রাতে পড়াশোনাও নেই।
বিদ্যুতের সমস্যার কথা বলছিলেন বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি রবি বুনার্জিও।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাগানের ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “বাগানের প্রায় ৫০ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছিল। পিডিবি তখন লাইন কেটে দেয়। এতে কারখানা বন্ধ হয়ে যায়।
“৫০ লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল কয়েক কিস্তিতে জরিমানাসহ ৬৮ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এর পরও তারা ট্রান্সমিটার নষ্টের অজুহাতে বিদ্যুৎ দেয়নি। ২০২৩ সাল থেকেই বিদ্যুৎ বন্ধ। বিল দেওয়ার পরও পিডিবি নতুন করে তাদের মিটার ভাড়াসহ বিভিন্ন সিস্টেমের কথা বলে আরও ৩২ লাখ টাকা দাবি করে।”
শিহাব উদ্দিন চৌধুরীর বলেন, “কোনো বিদ্যুৎ না জ্বালিয়ে ৩২ লাখ টাকা পরিশোধ করা আমাদের কাছে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক মনে হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে এই বিষয়ে আমরা হাই কোর্টে রিট করেছি। আজকে বাগান এই বাজে জায়গায় আসার পেছনে পিডিবির অসহযোগিতাও অনেকাংশে দায়ী।”
তিনি বলেন, “বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দেওয়ার কারণে শ্রমিকরাও দীর্ঘদিন ধরে অন্ধকারে। এই অবস্থায় শ্রমিক লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করার অনুরোধ করলেও তারা তা আমলে নেয়নি। পরে শ্রমিকদের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ থেকে নতুন সংযোগের জন্য আবেদন করলে পিডিবি এনওসি না দেওয়ায় সেটাও ঝুলে আছে।”
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পিডিবি জুরি উপজেলার আবাসিক প্রকৌশলী কবির আহমেদ বলেন, “ফুলতলা চা বাগান কর্তৃপক্ষের কাছে ট্রান্সমিটার এবং এরিয়া বিল বাবদ ৩১ লাখ টাকা পাওনা আছে। এটা পরিশোধ না করলে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা সম্ভব না। আর এখানে যেহেতু আমাদের লাইন আছে নতুন করে পল্লী বিদ্যুতের লাইন আসবে কেন? শ্রমিকরা যথাযথ নিয়মে এলে আমরাই তো তাদেরকে বিদ্যুৎ দিতে পারি। তারা তো আমাদের কাছে আবেদন নিয়ে আসতেছে না।”
নষ্ট হচ্ছে ২৫ হাজার কেজি চা পাতা
বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি রবি বুনার্জি বলছিলেন, বাগানে গত বছরের অবিক্রিত প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার কেজি চা পাতা রয়ে গেছে। এগুলো নষ্ট হচ্ছে। তা বিক্রি করা জরুরি। এ ছাড়া যদি কাঁচা পাতা তুলে বিক্রি করা যায় তবু বাগান থেকে কিছু টাকা আসবে। কিন্তু এই কাজগুলো করার এখন বাগানে মানুষ নেই।
তিনি বাগান দেখিয়ে বলছিলেন, “দেখেন এখন পাতা তোলার সময়। পাতা বড় হয়েছে। কিন্তু কে তুলবে? আর তুলেই বা কী করবে? দেখেও কষ্ট লাগে।”
এই বাগানে মোট জমির পরিমাণ দুই হাজার ৬৩৬ একর। এর মধ্যে উৎপাদন হচ্ছে এক হাজার ৬০০ একরে। প্রতি হেক্টরে গড় উৎপাদন ৭০০ কেজি। সঠিক পরিচর্যা করতে পারলে এর উৎপাদন দুই হাজার কেজিতে উন্নীত করা সম্ভব বলে মনে করে বাগান কর্তৃপক্ষ।
এর সঙ্গে একমত পোষণ করলেও চা পাতার দাম বাড়ানোর উপরও জোর দেন বাগান ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন চৌধুরী। পাশাপাশি পাশের দেশ থেকে কম দামে নিম্নমানের চা পাতা আমদানি, চোরাই বাজারে চা বিক্রির বন্ধের কথাও বলেন তিনি।
ব্যবস্থাপক বলেন, “করোনা মহামারির পর থেকেই বাগানে উৎপাদন কমছে। ২০১৯ সালে আট লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়। এখন ছয় থেকে সাড়ে ছয় লাখ কেজি চা উৎপাদন হচ্ছিল। চা পাতা নিলামে গড়ে বিক্রি হয় ২১০ থেকে ২১৫ টাকা কেজি দরে। কিন্তু বড় বাগান, তাই খরচ বেশি। এতে উৎপাদন ব্যয় পড়ে যায় ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা। তাই প্রতিবছরই ঘাটতিতে পড়তে হয়। দামটা বাড়লে হয়ত এতটা সমস্যা হত না।”
শেষ চেষ্টার আশা
সারা দুপুর বাগান ঘুরে দেখা যায়, কারখানাসহ অন্য প্রায় সবকিছুই বন্ধ। কর্মচারীরাও প্রায় নেই বললেই চলে। কিন্তু প্রধান করণিক আবদুল ওয়াদুদসহ আরও দুই-তিন জন কর্মচারী এখনও বাগান ছাড়েননি। তারা বাগানের গুরুত্বপূর্ণ নথি, যন্ত্রপাতি দেখে রাখছেন।
আবদুল ওয়াদুদ বলেন, “আমরা এখনও আশায় আছি বাগান চালু হবে। এখন চায়ের ভরা মৌসুম। চোখের সামনে গাছের পাতা বড় হয়ে নষ্ট হচ্ছে তা দেখে খুবই কষ্ট লাগে।”
বাগানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মঙ্গলবার সবাইকে নিয়ে বৈঠকের কথা রয়েছে। আবদুল ওয়াদুদ আশা করছেন, সেখানে কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে এবং বাগান আবার চালু হবে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি বিজয় হাজরা বলেন, “ফুলতলা চা বাগানে অনেক দিন ধরেই সমস্যা। আগে বাগান পরিচালনা পর্ষদের লোকদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। সমাধান আসেনি। এখন বাগানে ম্যানেজমেন্টের লোক নাই। তাই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। তারা যদি একটা কিছু করতে পারে।”
বাগানের ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “বাগানের একটা বড় সমস্যা হচ্ছে অতিরিক্ত শ্রমিক। আসলে দুটো বাগান মিলিয়ে বড়জোর ৮০০ শ্রমিক দরকার। কিন্তু নিবন্ধিত শ্রমিক আছে প্রায় দেড় হাজার। শ্রমিক ইউনিয়ন, শ্রমিকদের চাপ ইত্যাদি নানা কারণেই অতিরিক্ত শ্রমিক নিবন্ধন দিতে হয়। এটা থেকে বের হতে হবে।”