Published : 04 Dec 2024, 06:42 PM
পাবনায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধের অভিযান আটকে দিলেন ভাটা মালিক ও শ্রমিকরা।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাবনা-কুষ্টিয়া সীমান্তের সাদিপুর ইউনিয়নের ভোমড়ার মোড় এলাকায় ভাটা সংশ্লিষ্ট লোকজন অভিযানের গাড়ি আটকে দেন।
এ সময় তাদের বাধার মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয় পাবনা সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুরাদ হোসেনের নেতৃত্বের দলটি।
পরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাতুল ইসলাম ও কুমারখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিরুল আরাফাতের নেতৃত্বে দুটি দল গেলে বাধার মুখে তারাও পিছু হটেন।
অভিযানে যাওয়া দলগুলো থেকে পাওয়া তথ্যমতে, অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বহু ইটের ভাটা বন্ধ করতে বুধবার পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর এলাকার অভিযানে বের হয় পাবনা ও কুষ্টিয়ার উপজেলা প্রশাসনের তিনটি দল।
এ সময় দলগুলো কুষ্টিয়ার সাদীপুর ইউনিয়নের ভোমড়ার মোড় এলাকায় পৌঁছলে ভাটার মালিকপক্ষ হাজারের অধিক শ্রমিক নিয়ে সড়ক আটকে দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
একপর্যায়ে অভিযানে যাওয়া দল তিনটি পিছু হটতে বাধ্য হয়।
সাদীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম আজম বলেন, “হাজার হাজার শ্রমিক এখানকার ইটভাটাগুলোতে কাজ করে সংসার চালায়। তারা ইতোমধ্যে ভাটা মালিকের থেকে মোটা অংকের অগ্রীম টাকা নিয়েছে। এখন ভাটা বন্ধ হলে তারা কী করে খাবে? কীভাবে অগ্রীম নেওয়া টাকা পরিশোধ করবে?”
ওই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মজিদ বলেন, “জেলা প্রশাসকের কাছে আমাদের আবেদন, শ্রমিকদের স্বার্থ চিন্তা করে এ বছরের মত ইটভাটাগুলো চলতে দিক। কারণ, ইতোমধ্যে শত শত কোটি টাকা ইনভেস্ট করা হয়েছে, শ্রমিকরা অগ্রীম টাকা নিয়েছে। এখন ইটভাটা বন্ধ হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে শ্রমিকরা।”
পাবনা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুরাদ হোসেন বলেন, “হেমায়েতপুরের এই এলাকায় অভিযানে আসলে আমাদের বিভ্রান্ত করা হয়। পাবনা থেকে অভিযানে গেলে বলে, এটি কুষ্টিয়ার মধ্যে পড়েছে; আবার কুষ্টিয়ার টিম গেলে বলে পাবনার মধ্যে। এজন্য এবার আমরা কুষ্টিয়া ও পাবনার তিনটি দল যৌথ অভিযানে এসেছিলাম।
“কিন্তু আমরা ভোমড়ার মোড় এলাকায় এলে ইটভাটা মালিকরা শ্রমিকদের ব্যবহার করে আমাদের আটকে দেয়। একপর্যায়ে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু গাড়ির সামনে বসে রাস্তা প্রতিরোধ করলে সামনে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হয়নি।”
পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, পাবনা সদর উপজেলায় ৫২টিসহ জেলায় মোট ১৭৩টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৩০টি বৈধ। এর বাইরে সবগুলো অবৈধভাবে চালানো হচ্ছে।