Published : 18 May 2025, 05:30 PM
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় তিন বছর আগের একটি হত্যা মামলার জট খুলেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই।
এ ঘটনায় উপজেলার ধোপাপাড়া গ্রামের মৃত সন্তোস কুমার সরকারের ছেলে ইটভাটা শ্রমিক উত্তম কুমার সরকারকে (৩৭) ১৩ মে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজশাহী পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেছেন, উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামের একটি ইটভাটা থেকে উত্তমকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৪ মে আদালতে হাজির করে দুদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় উত্তমকে। জিজ্ঞাসাবাদে উত্তম হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। পরে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার বরাতে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৩ জুলাই উপজেলার পূর্ব ধোপাপাড়ার কারিগড়পাড়া মাঠ থেকে বিধবা আতেকা খাতুনের (৫০) ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন পুঠিয়া থানায় নিহতের ছেলে আতিকুর রহমান অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পিবিআই রাজশাহীকে দেওয়া হয়।
পিবিআইয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আতেকা খাতুনের স্বামী নেই। তার চার ছেলেমেয়ে। তিনি কৃষিকাজ ও দিনমজুরি করে সংসার চালাতেন। ২০২১ সালের ১৩ জুলাই আতেকা বেগম মাঠে ছাগল চড়াতে যান। উত্তম সরকার একটি ট্রলি আতেকার জমির উপর দিয়ে নিয়ে যান। এতে ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় আতেকা বেগম উত্তম সরকারকে গালিগালাজ করেন এবং হাসুয়া নিয়ে আক্রমণ করতে যান।
উত্তম সরকার তখন আতেকা বেগমের মাথায় বাঁশের মুগুর দিয়ে আঘাত করেন এবং পরে হাসুয়া কেড়ে নিয়ে সেটা দিয়ে আতেকা বেগমকে গলায় উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে লাশ ফেলে রেখে চলে যায়।
এরপর তিনি কিছুদিন আত্মগোপনে ছিলেন। ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করেন। একপর্যায়ে প্রতিবেশী দেশে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরে আবার ফিরে আসেন। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় উত্তমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পিবিআইয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।