Published : 06 Nov 2024, 11:43 AM
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা অসময়ে যমুনা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে ১৫টি বাড়ি-ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের চরপৌলী ১০ খাদা এলাকায় এই ভাঙন দেখা দেয় বলে জানিয়েছেন কাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “হঠাৎ করেই সকাল ১০টা থেকে তীব্র ভাঙন শুরু হয় এ এলাকায়। মুহূর্তের মধ্যেই ১৫টি বাড়ি-ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে সব হারিয়ে পরিবারগুলো দিশেহারা হয়ে পড়েছে।”
শুষ্ক মৌসুমেও এমন তীব্র ভাঙন দেখা দেওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে নদী তীরবর্তী চরপৌলীর বাসিন্দাদের।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে ভাঙনের গতি কমে আসলেও হুমকির মধ্যে রয়েছে অন্তত দেড় শতাধিক পরিবার। আতঙ্কে অনেককেই বাড়ি-ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পুরো এলাকা চলে যাবে যমুনা নদীগর্ভে।
ক্ষতিগ্রস্ত সাইফুল ইসলাম বলেন, “আমরা দিন মজুরের কাজ করি। সবাই প্রায় চার বারের অধিক ভাঙনের শিকার হয়েছি। সরকার সহযোগিতা না করলে আমরা আরও বিপাকে পড়বো।”
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, “আমাদের এলাকার হাজার-হাজার বাড়ি ঘর যমুনায় বিলীন হয়েছে। মঙ্গলবারও প্রায় ১৫টি পরিবার নিঃস্ব হয়েছে।
তার দাবি, নদীতে নিম্নমানের বস্তা ফেলায় এভাবে ক্ষতি হয়েছে। ঠিকাদারের শাস্তির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণও দাবি করেন তিনি।
কাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, “সব মিলিয়ে প্রায় ৭০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা না করা হলে তাদের খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে।”
স্থানীয়দের আরও অভিযোগ করেন, প্রতিনিয়তই নদীর পার ঘেষে শতশত বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল করায়ে এ ভাঙন শুরু হয়েছে।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, যে কোনো সময়ই যমুনা নদী ভাঙতে পারে। আর এই ভাঙন রোধে দ্রুতই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান জানান, “এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানা হয়েছে। দ্রুতই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার বলেন, “বিষয়টি প্রথম জানলাম। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”