Published : 22 Aug 2023, 06:29 PM
চা শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত গেজেট বাতিল এবং ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে নতুন গেজেট প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সিলেটের খাদিম ও বুরজান চা বাগানের আমতলায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রকাশিত গেজেট বাতিল করা না হলে শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দেন চা শ্রমিক নেতারা।
চা শ্রমিকের ১০ দফা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক ও খাদিম চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সবুজ তাঁতীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের উপদেষ্টা শ্রীবাস মাহালী, সমন্বয়ক এস এম শুভ, বুরজান চা কারখানার পঞ্চায়েত সভাপতি বিলাস ব্যানার্জী ও খাদিম চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমল নায়েক।
কেন্দ্রীয় সংগঠক মনীষা ওয়াহিদের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আতাউর রহমান শামীম, শিক্ষক বিকাশ বাউরি, বুরজান চা কারখানার পঞ্চায়েত কমিটির কোষাধ্যক্ষ সুশান্ত চাষা, চা শ্রমিক নেতা অনিতা বসাক, কুমকুম নায়েক ও মধু ভূমিজ।
সংগঠনের আহ্বায়ক সবুজ তাঁতী বলেন, “চা শ্রমিকদের স্বার্থের পরিবর্তে মালিকের স্বার্থ রক্ষা করছে সরকার। চা শ্রমিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। বাঁচতে হলে লড়াই করেই বাঁচতে হবে। আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমেই চা শ্রমিকদের অধিকার আদায় করে নিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, গত ১০ অগাস্ট শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মজুরি বোর্ড চা বাগানের শ্রমিক ও কর্মচারীদের মজুরি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা সম্বলিত একটি প্রজ্ঞাপন গেজেট আকারে প্রকাশ করে। সেখানে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী ন্যূনতম মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
দেশের সকল চা বাগানের শ্রমিকরা দুবেলা দু-মুঠো খাবারের নিশ্চয়তার দাবিতে যখন দীর্ঘদিন ধরে ৫০০ টাকা মজুরির দাবি জানিয়ে আসছিলেন তখন সরকারের পক্ষ থেকে ১৭০ টাকা ঘোষণা চা শ্রমিকদের সঙ্গে প্রহসন বলে মন্তব্য করেছেন সবুজ তাঁতী।
দৈনিক ৫০০ টাকা মজুরি নির্ধারণ করে নতুন গেজেট প্রকাশের দাবি জানিয়ে সংগ্রাম কমিটির সমন্বয়ক এস এম শুভ বলেন, “চা শ্রমিকের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে বাগান মালিকের স্বার্থ রক্ষার প্রজ্ঞাপন বাতিল করতে হবে। অন্যথায় চা শ্রমিকরা আন্দোলনের মাধ্যমে গেজেট বাতিল করতে সরকারকে বাধ্য করবে।”
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সদর উপজেলা কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে শ্রমমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন চা শ্রমিকরা। এ সময় সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন-