Published : 05 Oct 2024, 04:21 PM
হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল ও বাৎসরিক ছুটির টাকার দাবিতে গাজীপুর মহানগরের জিরানী এলাকার একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে শনিবার সকাল থেকে চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এতে সড়কের উভয় দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
জিরানী এলাকার একটি কারখানা ছাড়া আর কোথাও শ্রমিক বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশের পরিদর্শক আবু তালেব।
এদিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে সকাল থেকে শ্রমিকরা কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। শিল্প কারখানায় স্বাভাবিক রয়েছে উৎপাদন। তবে এখনও বন্ধ রয়েছে জেলার আটটি পোশাক কারখানা।
শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ জানিয়েছে, জিরানী এলাকার আইরিশ ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা সকালে কাজে এসে কারখানার প্রধান ফটকে জড়ো হন। পরে তারা হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল ও বাৎসরিক ছুটির টাকার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন।
বিক্ষোভের এক পর্যায়ে সকাল ৯টার দিকে শ্রমিকরা কারখানার পাশের চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করেন। এতে সড়কের উভয় দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দুই ঘণ্টার বেশি সময় সড়কটি বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।
শিল্প পুলিশ জানায়, সকাল থেকে শিল্প কারখানার শ্রমিকরা দল বেধে কাজে যোগ দিয়েছেন। এ সময় বিভিন্ন কারখানার সামনে নিরপত্তা জোরদার করা হয়েছে। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত জেলার আর কোথাও শ্রমিক অসন্তোষের খবর পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়া ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
মহানগরের ইটাহাটা দিগন্ত সোয়েটার কারখানার শ্রমিক সেলিনা আক্তার বলেন, তাদের কারখানায় এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি। তবে আশপাশের কারখানায় যখন ঝামেলা হয়, তখন তাদের কারখানাও ছুটি ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
পুলিশ পরিদর্শক আবু তালেব জানান, জিরানী এলাকার একটি কারখানা ছাড়া আর কোথাও শ্রমিক বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন কারণে জেলার আটটি কারখানা বন্ধ আছে।
শিল্প কারখানার সার্বিক নিরাপত্তায় শিল্প পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি কাজ করছে বলে জানান তিনি।