Published : 05 Jun 2025, 09:01 PM
ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া যানবাহনগুলো টাঙ্গাইলের আগে দীর্ঘ যানজটের মধ্যে পড়লেও যমুনা সেতু পার হওয়ার পর স্বস্তিতে চলাচল করছে।
তবে উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকামুখী পথে যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে লম্বা লাইন দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ওসি মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, সেতু অতিক্রম করার পর স্বস্তিতে যানবাহনগুলো গন্তব্যে ছুটছে। তবে ঢাকামুখী গাড়ির প্রচুর চাপ থাকায় সেতুর টোলপ্লাজা ও গোলচত্বর থেকে মাঝে মাঝে যানবাহনের লম্বা লাইন হয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছেন সেতু কর্তৃপক্ষ।
সিরাজগঞ্জ মহাসড়ক দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলের ২২ জেলার যানবাহন চলাচল করে। স্বাভাবিক সময়ে এই মহাসড়কে ১৫ থেকে ২০ হাজার গাড়ি চলাচল করে; যা ঈদে কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন উঠতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ছাড়া সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য রাতদিন মহাসড়কে কাজ করছেন। সেইসঙ্গে হাটিকুমরুল গোলচত্বরে স্থাপিত ওয়াচ টাওয়ার থেকে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি দেখভাল করা হচ্ছে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুর রউফ বলেন, যমুনা সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক অতিক্রম করার পর হাটিকুমরুল গোলচত্বরে এসে যানবাহনগুলো চারভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। তবে বগুড়াগামী মহাসড়কে চাপ সবচেয়ে বেশি।
ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলগামী উভয় লেনে প্রচুর গাড়ির চাপ থাকলেও মহাসড়কের চারটি পথ চালু থাকায় তেমন সমস্যা হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
সন্ধ্যার পর থেকে সেতুর পশ্চিমপাড় মহাসড়কে সেনাবাহিনী, র্যাব ও হাইওয়ে পুলিশের যৌথ টহল জোরদার করেছে।
সড়কে যানজট নিরসনের পাশাপাশি চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইরোধে বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত সেনাবাহিনীর সদস্যদের মহাসড়কের যানবাহন তল্লাশি করতে দেখা গেছে।