Published : 28 Aug 2024, 11:26 PM
গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুবক নিহতের ঘটনায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৫ জনের নামে হত্যা মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে মহানগরীর বাসন থানায় মামলাটি হয়েছে বলে জানান ওই থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর আলম।
নিহত নজরুল ইসলামের (৩২) স্ত্রী মোছা. পূর্ণিমা বেগমের দায়ের করা মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১৫০-২০০ জন আসামি করা হয়েছে।
মামলায় শেখ হাসিনা-ওবায়দুল কাদের ছাড়াও এজাহারনামীয় আসামিদের মধ্যে আছেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, মেহের আফরোজ চুমকি, সিমিন হোসেন রিমি, রুমানা আলী টুসি, সাবেক এমপি আখতারউজ্জামান, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, সাধারণ সম্পাদক আতাউল্যাহ মন্ডল, সাবেক সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মতি, আসাদুর রহমান কিরণ, আফজাল হোসেন সরকার রিপন, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেলসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সিটি করপোরেশনের একাধিক ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার শাহাবুদ্দিন মণ্ডলের বাসায় ভাড়া থাকতেন নজরুল ইসলাম। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানার বারইভাগ এলাকার মো. জামাল শেখের ছেলে।
গত ২০ জুলাই বেলা ১২টার দিকে নজরুল ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে বাসন থানাধীন চান্দনা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশে অংশ নেন।
অভিযোগে বলা হয়, সেখানে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চলাকালে মামলার প্রথম ১৬ জন আসামির নির্দেশে অন্য আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে আহত করেন। এ সময় তারা হত্যার উদ্দেশ্যে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন। এতে পিঠের ডান পাশে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান নজরুল ইসলাম।
পরে নিহতের লাশ সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানাধীন নিজ গ্রামে নিয়ে দাফন করা হয়।
এদিকে, গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে দেশত্যাগের পর তার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা হয় ১৩ অগাস্ট।
এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে, যার মধ্যে অধিকাংশই হত্যার অভিযোগে।
আরও পড়ুন: