Published : 20 May 2025, 05:14 PM
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় এক কলেজ ছাত্রকে হত্যার ১৭ বছর পর তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক ফাতেমা আক্তার স্বর্ণা এক আসামির উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি (এপিপি) শফিউজ্জামান।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়ারা হলেন- উপজেলার ভৈরবপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মো. সুমন মিয়া (৩৯), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দৌলতদিয়া গ্রামের সেলিনা বেগম (৪১) ও একই জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর গ্রামের শোভা প্রকাশ (৪৭)। রায় ঘোষণার সময় সুমন ও প্রকাশ পলাতক ছিলেন।
নিহত মোহাম্মদ আলী (২২) ভৈরবের হাজী আসমত কলেজে বিএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি কলেজ ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশোনা করতেন। মোহাম্মদ আলী কুলিয়ারচর উপজেলার তারাকান্দি মধ্যপাড়া এলাকার মো. সামছুদ্দিন মিয়ার ছেলে।
মামলার বরাতে এপিপি শফিউজ্জামান বলেন, ২০০৮ সালের ৬ জানুয়ারি রাতে মোহাম্মদ আলীকে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।
ঘটনার পরদিন মোহাম্মদ আলীর বাবা সামছুদ্দিন অজ্ঞাত পরিচয়দের আসমি করে ভৈরব থানায় হত্যা মামলা করেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, “তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ৩০ মে ভৈরব থানার তৎকালীন এসআই আব্দুল আজিজ চারজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র প্রদান করেন। মামলা তদন্তকালে গ্রেপ্তার সুমন মিয়া ও মহরম আলী ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তবে মামলা চলাকালে মহরম আলী মারা যান।
“স্বীকারোক্তিতে তারা বলেন, সেলিনা বেগম ও শোভা প্রকাশ যৌন পেশায় জড়িত ছিলেন। মোহাম্মদ আলী তাদের অনৈতিক কাজে বাধা দিলে তারা সুমন ও মহরম আলীর শরণাপন্ন হন। পরে মোহাম্মদ আলী ও তার বন্ধু মুরাদকে কুপিয়ে আহত করা হয়।”
স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মোহাম্মদ আলী মারা যান এবং মুরাদকে ঢাকায় পাঠানো হয় বলে জানান এপিপি শফিউজ্জামান।
সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী।
আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী মিজানুর রহমান।