Published : 23 Mar 2025, 11:27 AM
মাছের নিরাপদ অভয়াশ্রম ও সংরক্ষিত জলাভূমি প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে যত্রতত্র গড়ে ওঠা হাঁসের খামার দ্রুত তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসক।
শনিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের অফিসিয়াল ফেইসবুকে এমন নির্দেশনা জানিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়।
খামার উচ্ছেদ না করলে রোববার থেকে খামারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে গণবিজ্ঞপ্তিতে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট টাঙ্গুয়ার হাওরে যত্রতত্র হাঁসের খামার গড়ে উঠেছে। এ সকল খামারের হাঁস নির্বিচারে মৎস্য অভয়াশ্রম টাঙ্গুয়ার হাওরের রেণু পোনা নিধন করে মাছের মজুদ ধ্বংস করছে।
“এমতাবস্থায় টাঙ্গুয়ার হাওরের সকল হাসের খামার দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার জন্য খামারিদের অনুরোধ করা হচ্ছে। অন্যথায় আগামী ২৩ মার্চ থেকে খামার উচ্ছেদসহ খামারিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এ প্রসঙ্গে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্মতা (ইউএনও) আবুল হাশেম বলেন, “টাঙ্গুয়ার হাওরে অনেক হাঁসের খামার গড়ে উঠেছে। খামারিরা সংরক্ষিত জলাশয়ে হাঁস ছেড়ে দেওয়ায় রেণু পোনা খাচ্ছে হাঁস। এতে হাওরে মাছের সংকট দেখা দিয়েছে।
“আমরা বারবার খামারিদের সতর্ক করলেও তারা খামার তুলে নিচ্ছেন না। তাই রোববার থেকে আমরা উচ্ছেদে নামবো।”
এদিকে জেলা প্রশাসনের খামার উচ্ছেদের ঘোষণায় হাঁসের খামারিরা বিপাকে পড়বেন বলে মনে করছেন সুনামগঞ্জ হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সহসভাপতি অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার।
তিনি বলেন, “মাছ ধরা ও হাঁস পালন করা হাওরের কৃষকদের উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া পেশা। সব হাওরেই এটা আছে। এখন হঠাৎ মাছ রক্ষার কথা বলে হাঁসের খামার উচ্ছেদ করা ঠিক হবে না। আমরা দেখি প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে পরিবেশ বিধ্বংসী নানা যন্ত্র দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে।
“কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কাঙ্খিত অ্যাকশন দেখি না। হাওরের পোকা-মাকড় খাওয়া হাঁসের খামার কোনো তুলে দিতে হবে এটা আমাদের প্রশ্ন। কৃষকদের স্বার্থের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”