Published : 25 Mar 2025, 05:01 PM
বরগুনার বেতাগী উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা বাস ভাঙচুরের পাশাপাশি যাত্রীদের জিম্মি করে টাকা, মোবাইলসব মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
মঙ্গলবার ভোর রাতে বরগুনা সদর ও বেতাগী উপজেলার সীমান্তবর্তী সড়কের গলাচিপা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম খলিল জানান।
ডাকাতির শিকার ইমরান পরিবহনের বাসচালক মো. আয়নাল সাংবাদিকদের বলেন, “লাবিবা পরিবহনের একটি বাস সড়কে দাঁড়াতে দেখে তার পেছনে দাঁড়াই। এ সময় হঠাৎ কয়েকজন অস্ত্রধারী এসে বাসের পাশের একটি জানালা ভেঙে আমার গলায় অস্ত্র ধরে।
“ডাকাতরা চোখে লাইট জ্বালিয়ে রাখে। যাতে সামনে কিছু না দেখতে পাই। পরে অন্য সদস্যরা বাসের দরজার গ্লাস ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় দেশি অস্ত্র ঠেকিয়ে যাত্রীদের মোবাইলসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নেয় তারা।”
তবে তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেলে ডাকাতরা দ্রুত বাস থেকে নেমে পালিয়ে যায় বলে জানান বাসচালক আয়নাল।
লাবিবা পরিবহনের স্টাফ মো. শামীম বলেন, “বরিশাল-বরগুনা সড়কের গলাচিপা ও চান্দখালী সড়কের মাঝামাঝি পৌঁছুলে সড়কে দুটি পিকআপ ভ্যান ও একটি ছোট পিকআপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বাস থামাই।
“এ সময় হঠাৎ তিন থেকে চারজন বাসের গ্লাস ভাঙচুর করেন। গাড়ি চালিয়ে পেছনের দিকে যেতে চাইলে আরও ১৩ থেকে ১৪ জনকে দেখতে পাই। একটু পর ইমরান পরিবহনের বাসটি এসে পৌঁছালে সেটিতে হামলা চালিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে ডাকাতরা।”
পুলিশ সুপার ইব্রাহিম খলিল বলেন, ঘটনাটি সীমান্তবর্তী এলাকায় ঘটেছে। এসব এলাকায় পুলিশ কম যায়। ডাকাতরা এক জায়গায় শুরু করে অন্য জায়গায় শেষ করে। এ ছাড়া বর্তমানে শুকনো মৌসুম হওয়ায় ডাকাতরা সহজেই পালিয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, “ডাকাতরা যাত্রীদের কাছ থেকে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা ও পাঁচটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। বাসের চালক ও সহকারীর সঙ্গে কথা বলে মামলা দিতে বলেছি। কিন্তু তারা মামলা দিতে ইচ্ছুক নয়। এ ছাড়া কোনো ভুক্তভোগীকেও পাওয়া যাচ্ছে না। তবুও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।”
ডাকাতি বন্ধে সড়কে পুলিশ আরও কঠোর অবস্থান নেবে বলে জানান পুলিশ সুপার ইব্রাহিম খলিল।