Published : 22 May 2025, 07:24 PM
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় রাতের আঁধারে টিসিবির পণ্য বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় আটকে দিয়েছে জনতা।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ভানোর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর থেকে আধা কিলোমিটার দূরে পণ্যগুলো জব্দ করা হয় বলে জানান বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ কুমার দেবনাথ।
এ সময় টিসিবি ডিলারের এক কর্মচারীকে আটক করার পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে ভানোর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে টিসিবির ১৫টি প্যাকেজ ভ্যানে করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন ডিলারের সহকারী রাজু। সন্দেহ হলে ভ্যান আটকে দেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। পরে বাজারে থাকা লোকজন গিয়ে পণ্যসহ রাজুকে পরিষদ চত্বরে আটকে রাখা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা নবাব বলেন, “টিসিবির এতগুলো পণ্য আত্মসাতের জন্য রাতের আঁধারে গোপনে ডিলার তার লোক দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আমি দৌড়ে গিয়ে ধরেছি, তা না হলে পালিয়ে যেত। ডিলাররা এসব পণ্য নিয়ে গেলে আর ফেরত আসত না।”
তবে ডিলারের কর্মচারী রাজু বলেন, “সাব-ডিলার একরামুলের নির্দেশে ১৫টি প্যাকেজ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলাম। স্থানীয় বাসিন্দারা আটকে দিয়েছে। এসব মালপত্র পরবর্তী মাসে সমন্বয় করার কথা ছিল।”
এ বিষয়ে ভানোর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শওকত আলী বলেন, “বিতরণের পর অবশিষ্ট ১৫টি প্যাকেজ পরিষদ থেকে রাতে কাউকে কিছু না বলে নিয়ে যাচ্ছিলেন রাজু। স্থানীয়রা আটকে দিয়েছে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।”
টিসিবির ডিলার ‘মেসার্স মাহিম এন্টারপ্রাইজের’ মালিক আব্দুল আওয়াল মোবাইলে বলেন, “পাঁচ দিন ধরে পণ্য বিতরণ চলছে। আমার বাবা অসুস্থ থাকায় বিতরণের সময় থাকতে পারিনি।
“পণ্য বিতরণের জন্য সাব-ডিলার একরামুলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। রাতে জানতে পারি টিসিবির মালপত্র বাড়িতে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল।”
উপজেলা প্রশাসন কিংবা ইউপি চেয়ারম্যানকে না জানিয়ে রাতে কেন পণ্য বাসায় নিচ্ছিলেন এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি সাব-ডিলার একরামুল হক।
ইউএনও পলাশ কুমার দেবনাথ বলেন, “উদ্ধার হওয়া মালামাল ইউপি চেয়ারম্যানকে হেফাজতে রাখতে বলেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ভানোর ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবির স্মার্ট কার্ডধারী ৭৫৫ জন সুবিধাভোগী রয়েছেন; যার মধ্যে ৭৪০টি পণ্য বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান ডিলার আব্দুল আওয়াল।