Published : 29 May 2025, 05:47 PM
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় ‘চুরির অভিযোগ তুলে’ যুবককে পিটিয়ে হত্যা মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক ফেরদৌস ওয়াহিদ এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি খন্দকার সিরাজুল ইসলাম।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, দৌলতপুর উপজেলার বেগুনবাড়ীয়া গ্রামের মাবুদ মণ্ডলের ফারুক হোসেন (৪৩) ও একই গ্রামের মৃত আমজাদ মণ্ডলের ছেলে আমিন উদ্দিন (৫৭)।
রায় ঘোষণার সময় আমিন উদ্দিন আদালতে উপস্থিত থাকলেও ফারুক হোসেন পলাতক। পরে কঠোর পাহারায় আমিন উদ্দিনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয় এবং পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার সূত্রে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি খন্দকার সিরাজুল ইসলাম বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিবেশী যুবক মিন্টুর (২৬) নামে টিউবয়েলের হাতল চুরির অভিযোগ তুলেন আসামিরা। এর জেরে ২০০৯ সালের ৭ জানুয়ারি রাতে বাড়ি ফেরার পথে মিন্টুকে ঘিরে ধরে টেনে হিচড়ে ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষের লোকজন।
সেখানে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে মিন্টুর মাথায় আঘাত করা হয়। তার গোঙ্গানির শব্দে স্থানীয়রা টের পেলে অচেতন মিন্টুকে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় আসামিরা।
মিন্টুকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একদিন পরে মিন্টু মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা পরদিন ১৬ জনের নামোল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে ২০০৯ সালের ৫ মে দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন দৌলতপুর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আলমগীর কবীর ।
আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, দীর্ঘদিন সাক্ষ্য-শুনানি শেষে আদালত এই মামলার এজাহার নামীয় ১৪ জনকে বেকসুর খালাস প্রদান দেন এবং ফারুক ও আমীনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
একই সঙ্গে বিচারক তাদের ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এই কৌঁসুলি।