Published : 30 Dec 2024, 02:25 PM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ফলাফল পুনর্মূল্যায়নসহ তিন দফা দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন ওই অনুষদের তিন শিক্ষার্থী।
রোববার বিকাল পৌনে ৪টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন তারা। সোমবার বেলা ২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে অনশনরত ছিলেন।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা হলেন-আইন ও বিচার বিভাগের ৫০ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বিভাগের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান, ৪৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মালিহা হাসান মাইশা ও একি ব্যাচের রফা রওনাক।
তাদের দাবিগুলো হলো- আইন অনুষদের ৪৯ তম ব্যাচ থেকে ৫১ তম ব্যাচের ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন, ভর্তি পরীক্ষায় আইন অনুষদের জন্য আগের মত আলাদা ইউনিট করা এবং স্থায়ী ভবন বরাদ্দ করা।
সোমবার ভোর ৫টায় দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা শুয়ে আছে। তারা তিনজনই রোববার বিকাল থেকে ‘না খেয়ে’ আছেন বলে জানান।
দুপুরে অনশনরত শিক্ষার্থী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “আমাদের তিনটা দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মৌখিক আশ্বাস দিচ্ছেন কিন্তু লিখিত কোনো ডকুমেন্টস দিচ্ছেন না। আমরা তাদের আর বিশ্বাস করতে পারছি না।
“আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছি, এ বিষয়গুলো নিয়ে। প্রশাসন আমাদের সঙ্গে টালবাহানা করছে। যতক্ষণ না লিখিত পাচ্ছি ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।"
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, “আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। কনভিন্স করার চেষ্টা করেছি। আগের কোনো প্রশাসনই আইন ও বিচার বিভাগকে গুরুত্ব দিয়ে দেখেনি; আমরা দেখছি।
“আমাদের আগামী কালকের (মঙ্গলবারবার) সিন্ডিকেট মিটিং পর্যন্ত যাতে তারা সময় দেন সেটা বলেছি, কিন্তু তারা সেই সময়টুকুও আমাদের দিচ্ছেন না।"
আইন অনুষদ ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) আসিফুল হাসান অমিত বলেন, "দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস যাবত আমরা আইন অনুষদের স্থায়ী ভবন এবং প্রকাশিত প্রশ্নবিদ্ধ ফলাফল পূনর্মূল্যায়নের দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। প্রশাসন বার বার আশ্বাস দিলেও তদন্ত কমিটি গঠন ছাড়া কোন দৃশমান ফল দেখতে পাইনি।
“অনুষদের স্বৈরাচারী শিক্ষক তাপস কুমার দাস ও সুপ্রভাত পালের অন্যায়ের বিচার ও ফলাফল পূনর্মূল্যায়নের জন্য গঠিত হওয়া কমিশনের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি আজকে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল থেকে একটা শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত আসবে।"
তিনি বলেন, “অনুষদের স্থায়ী ভবনের বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত আসেনি। দুটি ক্লাস রুমে আমাদের শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা একেবারেই অসম্ভব। আমরা আইন অনুষদের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের এসব ন্যয্য দাবির বিষয়ে যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিয়েই ফিরব।"