Published : 30 May 2025, 11:51 AM
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে খাগড়াছড়িতে টানা বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। এতে পাহাড় ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে জেলায় টানা বৃষ্টি হচ্ছে। তবে দুর্যোগ মোকাবিলায় নেওয়া হয়েছে প্রস্তুতি। পাহাড় ধসে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এবং নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নিতে সচেতনতামূলক মাইকিং মাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজন চন্দ্র রায় বলেন “কলাবাগান, সবুজবাগ, শালবন, কুমিল্লাটিলাকে অতিঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা বৃহস্পতিবার থেকে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় গিয়ে মাইকিং করছি। যারা পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে তাদেরকে সরে যাওয়ার জন্য বলছি। স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।”
খাগড়াছড়ি জেলা সদর ছাড়াও দীঘিনালা, মাটিরাঙা ও রামগড়সহ বিভিন্ন উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ বসতি রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেও বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, “আমি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। এখনও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। যারা ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে, তারা যদি দুপুরের মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে না আসে সেক্ষেত্রে প্রশাসন তাদের জোর করে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাবে। প্রাণহানি এড়াতে আমরা এমন সিন্ধান্ত নেব।”
এদিকে পাহাড়ি সড়কে মাটি ধসে যাওয়া শঙ্কায় কাজ করছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জনবল ও মাটি সরানো সরঞ্জাম।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের বেলুন মেকার সুভূতি চাকমা বলেন, “শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টা পর্যন্ত খাগড়াছড়িতে ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে।”