Published : 17 Mar 2025, 07:52 PM
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নির্মাণাধীন আধুনিক খাদ্যগুদাম প্রকল্পের তিনটি ‘টাওয়ার’ ধসে পড়েছে।
রোববার রাতে ঝড়ের সময় সেগুলো ধসে পড়ে বলে প্রকল্পের ইনডিভিড্যুয়াল কনসালটেন্ট টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট মো. হাসিবুজ্জামান জানান।
তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তম কনস্ট্রাকশনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. খোরশেদ আলম বলেন, একটি অন্যটির ওপর হেলে পড়ায় তিনটি কলাম (টাওয়ার) ধসে পড়েছে। ধসে পড়া কলামগুলোর জায়গায় নতুন কলাম নির্মাণ করা হবে।
খাদ্য মজুদ পর্যাপ্ত করতে প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আটটি আধুনিক খাদ্যগুদাম নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার।
এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় সাড়ে পাঁচশ কোটি টাকা ব্যয়ে আশুগঞ্জের পুরোনো কংক্রিট সাইলোর পাশে মেঘনা নদীর তীরে নির্মিত হচ্ছে আধুনিক খাদ্যগুদাম বা স্টিল রাইস সাইলো।
রক্ষিত চাল সংরক্ষণাগার থেকে মেঘনা নদীতে স্থাপিত জেটিতে নৌযানে পরিবহনের জন্য একটি স্বয়ংক্রিয় কনবেয়র ব্রিজ থাকবে।
এ কনবেয়র ব্রিজটি ছয়টি স্টিলের কলামের ওপর স্থাপন করা হবে।
রোববার রাতে ঝড়ে নির্মাণাধীন এ কনবেয়র ব্রিজের একটি স্টিলের কলাম পাশেরটির উপর হেলে পড়ে। এতে তিনটি স্টিলের টাওয়ার ধসে পড়ে।
টাওয়ার হেলে পড়ায় পুরনো সাইলোর দেয়াল ঘেঁষে তৈরি করা প্রকল্পের টিনের গুদামঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
তমা কনট্রাকশনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম বলেন, “পড়ে যাওয়া টাওয়ারের বিভিন্ন মালামাল সরানো হয়েছে। এটি নতুন করে আবার নির্মাণ করা হবে।”
প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। টাওয়ার ধসে পড়ার বিষয়টির খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।”
টেকনিক্যাল সাইট স্পেশালিস্ট হাসিবুজ্জামান বলেন, “বিম বসানোর জন্য ৫০ সেটের স্টিলের কলাম রয়েছে। রোববার রাতে ঝড়ে তিনটি কলাম ধসে পড়লেও সাইলোর কোনো ক্ষতি হয়নি। কলামগুলো নতুন করে নির্মাণ করা হবে।”
২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল এ প্রকল্পের অবকাঠামো নির্মাণে দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনট্রাকশনের সঙ্গে চুক্তি করে সরকার। একই বছর প্রকল্পের নির্মাণ কাজও শুরু হয়।
২০২১ সালের এপ্রিলে কাজ শেষ করে তা হস্তান্তরের কথা ছিল।
কিন্তু করোনা মহামারি, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে প্রকল্পের মেয়াদ ৪ দফা বাড়ানো হয়।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলছে, গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের ৭৮-৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
ওইদিন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
আগামী ৩০ জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।