Published : 31 May 2024, 01:19 AM
রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত বড়তলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতুমং মারমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১১.৪৮ মিনিটে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরোত্তম তংচঙ্গ্যা।
তিনি বলেন, “গুলিতে আহত হওয়ার পর থেকেই চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন ছিলেন আতুমং মারমা। বৃহস্পতিবার রাতে তার সঙ্গে থাকা ওয়ার্ড মেম্বার ও স্বজনরা ফোন করে জানিয়েছেন তিনি সেখানেই মারা গেছেন।”
৫১ বছর বয়সী আতুমং মারমার বাড়ি বড়থলি ইউপির মারমা পাড়ায়।
বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাচনের দিন গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় বড়থলী পাড়ায় একটি বাড়িতে রাতের খাবার খাওয়ার সময় অজ্ঞাত পরিচয় দুজন ব্যক্তি তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় সেনা ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরদিন বুধবার ভোর ৬টায় বান্দরবান জেলার রুমা সদর হাসপাতালে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে।
রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রুবেল জানিয়েছিলেন, রোগীর গায়ে দুটি গুলি লেগেছে। তার মধ্যে হাতে গুলিটা ঢুকে বের হয়ে গেছে। তবে পায়ের উরুতে গুলি থেকে গেছে।
তবে এই হামলার ঘটনায় ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার ওয়াইবা ত্রিপুরার (৫০) বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন আহত আতুমং মারমা। তবে কোন কারণে বা কেন গুলি করেছিল তা জানাতে পারেননি তিনি।
গুলির ঘটনার পর বিলাইছড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের এএসপি মো. আবুল কাশেম চৌধুরী জানিয়েছিলেন, “গুলিবিদ্ধ আতুমং চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। চিকিৎসা করে ফিরে আসার পর মামলা হবে। তদন্ত করার পর এই ঘটনা কেন ঘটিয়েছে জানা যাবে।”
পুরানো খবর
রাঙামাটিতে ইউপি চেয়ারম্যান গুলিতে আহত