Published : 06 Aug 2024, 04:24 PM
বিক্ষুব্ধ জনতার পিটুনিতে কুমিল্লার তিতাস থানা পুলিশের দুই সদস্যর প্রাণ গেছে। এছাড়া গুলিতে আরও এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার গভীর রাতে তিতাস থানা এবং দাউদকান্দি মডেল থানার সামনে এসব ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার সকালে তিতাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমাইয়া মমিন সাংবাদিকদের কাছে পুলিশ সদস্যদের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- তিতাস থানার এসআই রেজাউল করীম ও কনস্টেবল মাইন উদ্দিন এবং দাউদকান্দি উপজেলার তুজারভাঙা গ্রামের বাসিন্দা বাবু মিয়া (২১)।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশত্যাগ এবং দেশবাসীর উদ্দেশ্যে সেনাপ্রধানের দেওয়া বক্তব্যের পর সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা তিতাস থানা ঘেরাও করতে যায়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে কমপক্ষে ৩০ জন গুলিবিদ্ধ হন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা থানায় পৌঁছে পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করেন।
পুলিশ সদস্যদের উদ্ধারের পর বিক্ষুব্ধ জনতা তিতাস থানা এবং থানার পাশের মার্কেটে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় থানা পাহারায় থাকা দুই পুলিশ সদস্য থানার পেছনের ফটক খুলে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের ধরে পিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান।
ইউএনও সুমাইয়া মমিন বলেন, “তিতাস থানার ওসি আমাদের জানিয়েছেন, হামলাকারীরা সব জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে। থানায় ঢোকার পরিস্থিতি নেই। থানায় আগুন দেওয়ার পাশাপাশি গাড়িও পোড়ানো হয়েছে।”
লাশগুলো ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাবু মিয়া সোমবার দাউদকান্দি বাজারে যান। দাউদকান্দি মডেল থানার সামনের সড়কে পৌঁছার পর পুলিশের গুলিতে তিনি মারা যান। এ সময় উৎসুক জনতা থানা ঘেরাও করার চেষ্টা করলে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে।
দাউদকান্দির ইউএনও মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম বলেন, “আমি এক তরুণের গুলিতে মৃত্যুর খবরটি শুনেছি। তবে থানা-পুলিশ থেকে আমাকে জানানো হয়নি।”