Published : 26 Jul 2024, 01:11 AM
কোটা সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে ঢাকার সাভারে নৈরাজ্যকারীদের মধ্যে কেউ ছাত্র নয় বলে মন্তব্য করেছেন উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, “এই নৈরাজ্য পরিস্থিতি যারা সৃষ্টি করেছিল তাদের মধ্যে কেউ ছাত্র ছিল না! সরকারবিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে দুটি রাজনৈতিক দল সক্রিয়ভাবে এই নৈরাজ্যে অংশগ্রহণ করেছিল।”
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে সহিংসতায় সাভারে ঘটা বিভিন্ন ধংসযজ্ঞ পরিদর্শন শেষে বৃহস্পতিবার বিকালে সাভার মডেল থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে জেলা পুলিশের উদ্যোগে মহাসড়কে মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে হকারদের উচ্ছেদ করা হয়েছিল। সেই হকাররাও এই নৈরাজ্য পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য জ্বালাও-পোড়াও কাজে অংশগ্রহণ করেছে।”
ছাত্র আন্দোলন ‘হাইজ্যাক’ করা হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা নাশকতাকারী, যারা রাষ্ট্রবিরোধী, যারা সরকার এবং রাষ্ট্রকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়, রাষ্ট্রকে অচল করে দিতে চায় তারাই মূলত ছাত্র আন্দোলন হাইজ্যাক করেছিল ।”
তিনি বলেন, “এই সম্মিলিত গোষ্ঠীর মূলত উদ্দেশ্য ছিল রাষ্ট্রকে অকার্যকর করা ও সরকারকে উচ্ছেদ করা, এর সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই। কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্ররা এসব জ্বালাও-পোড়াও করেনি। বাংলাদেশের কোথাও তারা জ্বালাও-পোড়াও ও ভাঙচুরে অংশ নেয়নি।”
সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, “সাভারে ২০টির ওপরে প্রতিষ্ঠান রয়েছে, বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো তছনছ করা হয়েছে, ভাঙচুর করা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রাণী সম্পদ অফিস ভাঙচুর করে গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। এছাড়া সড়কেও অনেকগুলো গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। পুলিশ বক্স, ডিবি কার্যালয় তছনছ করা হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ বক্স একেবারে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে। এছাড়া সিটি সেন্টারসহ শপিংমল, দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনদিন ধরে এই নৈরাজ্য চালিয়েছে তারা।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের কাছে ভিডিওচিত্র আছে যেখানে কোনো ছাত্রের অস্তিত্ব আমরা খুঁজে পাইনি। যাদেরকে দেখেছি তারা দুষ্কৃতকারী, তারা নৈরাজ্যকারী, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সরকারের বিরুদ্ধে তারা মূলত বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল এবং সরকার পতনের মধ্য দিয়ে তারা ফায়দা লুটতে চেয়েছিল।”
তিনি বলেন, “এদেশের মানুষের জানমাল রক্ষার্থে পুলিশ দাঁড়িয়েছে, সাধ্যমতো আইন প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছে। ভবিষ্যতেও আইন প্রয়োগ করে যাবে।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা জেলায় ১৯টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় আড়াই শতাধিক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এসময় ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মারুফ হোসেন সরদার, ঢাকা জেলার উত্তর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) আবদুল্লাহিল কাফি, সাভার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাহিদুল ইসলাম, সাভার মডেল থানার পরিদর্শক মো. শাহজামান ও আশুলিয়া থানার পরিদর্শক এএফএম সায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন
কোটা: সাভার-আশুলিয়ায় ১১ মামলায় আসামি সাড়ে ৫ হাজার