Published : 08 May 2025, 04:54 PM
তীব্র গরমে চুয়াডাঙ্গার জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। বেলা গড়ানোর পর থেকেই রোদের প্রচণ্ড তাপে বাড়ছে গরমের অনুভূতি।
বুধবার বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে; যা গত ১৫ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে জেলা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানিয়েছেন।
তাপমাত্রার পারদ চড়ায় সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে তীব্র গরমে কষ্ট পেতে হচ্ছে। সকাল ১০টার পর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তীব্র রোদের কারণে ঘরের বাইরে বের যাওয়া যাচ্ছে না।
চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ কোর্টের সহকারী আইনজীবী আলমগীর হোসেন বলছিলেন, “দুপুর হওয়ার আগে থেকেই রাস্তায় লোকজন কমে গেছে। রোদে বাইরে যাওয়া যাচ্ছে না।”
শহরের শহীদ হাসান চত্বরে যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা ভ্যানচালক আহসান আলী বলেন, “যে রোদ, রাস্তায় কোনো যাত্রী নাই। যারা বেরিয়েছেন তারা রোদের কারণে ইজিবাইক কিংবা বাসে উঠে গন্তব্যে যাচ্ছেন। আমাদের আয়-উপাার্জন একদম কমে গেছে।”
আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল বলেন, “গত ১৫ দিনের মধ্যে বৃহস্পতিবারের তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি। বুধবার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
“এর আগে গত মাসের ২৩ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে। ১৫ দিন পর আবার তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রির ঘর অতিক্রম করল।”
তিনি বলেন, “তাপমাত্রা আরও বাড়বে। ১৩ মে পর্যন্ত তাপমাত্রা বেশি থাকবে। তারপর বৃষ্টি হতে পারে। পরে নিম্নচাপও দেখা দিতে পারে।”
তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার এই সময়ে শিশু ও বয়ষ্কদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ আসাদুর রহমান খোকন।
তিনি বলেন, “কোনোভাবেই তাদের বাইরের খাবার খাওয়ানো যাবে না। ঘরে তৈরি টাটকা খাবার খাওয়াতে হবে।”