Published : 26 May 2025, 01:55 PM
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় সরকারি ২০ শতাংশ জমিতে অবৈধভাবে নির্মাণ করা ২১টি দোকানঘর উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন। উদ্ধার করা জমির আনুমানিক বাজার মূল্য দেড় কোটি টাকা।
সোমবার সকালে উপজেলার রসুলগঞ্জ বাজারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খাল ও খাস জমি থেকে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয় বলে জানান লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী হাকিম মজিবুর রহমান।
দীর্ঘদিন ধরে সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ বাজারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খাল ও খাস জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে ভোগ করে আসছিলেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এতে খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে পড়েছিল।
সেইসঙ্গে দূষণ হচ্ছে খালের পরিবেশ। খালে স্বাভাবিকভাবে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে ২০ শতাংশ জমিতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ২১টি দোকানঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন কার্যালয় জানিয়েছে, বর্ষার আগে খালে পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা অপসারণে ৩০ এপ্রিল লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মাদাম সেতু এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে উচ্ছেদ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
২১ মে সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের অভিরখিল ও ছাগলছিড়া খালের ওপর থেকে ১২টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। পরদিন রায়পুর পৌরসভায় ডাকাতিয়া নদী থেকে চারটি বড় আড়াআড়িভাবে দেওয়া অবৈধ বাঁধ অপসারণ করা হয়।
নির্বাহী হাকিম মজিবুর রহমান বলেন, “অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রথমে মালিকদের নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কেউ তা সরায়নি। এজন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
“উচ্ছেদ করা হয়েছে খাল ও সরকারি জমিতে থাকা ২১টি দোকানঘর। উদ্ধার করা জমির বাজার মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা।”
অভিযানে স্থানীয় প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
২০২৪ সালের অগাস্টের শেষ দিকে লক্ষ্মীপুরে প্রবল বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে বাড়িঘর ডুবে যায়। পরবর্তীতে ফেনী-নোয়াখালী থেকে বন্যার পানি এসে প্রায় দেড় মাস পানিবন্দি ছিল অন্তত আট লাখ বাসিন্দা।