Published : 15 Jun 2025, 01:28 PM
ভবিষ্যতেও কখনো রাজনীতি না করার অঙ্গীকার করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন কামরুজ্জামান কামাল।
শনিবার দুপুরে মুকসুদপুর উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দল থেকে পদত্যাগ এবং সব প্রকার রাজনীতি থেকে অবসরের এই কথা জানান তিনি। কারণ হিসেবে ‘শারীরিক অসুস্থতাকে’ উল্লেখ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে কামরুজ্জামান কামাল মিয়া বলেন, “আমি হৃদরোগে আক্রান্তসহ শারীরিক নানাবিধ সমস্যায় ভুগছি। শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
“তাই আমি স্বেচ্ছায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে অবসর গ্রহণ করলাম এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।“
এ সময় তিনি বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বরাবর পদত্যাগপত্র লিখেছেন, এটি দ্রুত জমা দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
“আজ থেকে আমার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই। কখনো আর রাজনীতি করব না।”
এ বিষয়ে কামরুজ্জামান কামালের মোবাইল নম্বর কল দেওয়া হলেও তার নম্বরটি আর ব্যবহৃত হচ্ছে না বলে গ্রামীণফোনের ভয়েজ রেকর্ড থেকে জানানো হয়। এ কারণে তার আর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে তার ছেলে তন্ময় মিয়া মোবাইলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার বাবা সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের সব নেতা পলাতক রয়েছে। তারপরও আমার বাবা পদত্যাগপত্রটি দ্রুত জমা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন।
“বাবা শারীরিকভাবে অসুস্থ তাই তিনি আর রাজনীতিতে সময় দেবেন না। এখন সংসারে অবসর সময় কাটাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”
মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হায়দার হোসেন মোবাইলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কামরুজ্জামান কামাল গত ৫ অগাস্টের পরই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। তিনি তারপর থেকে আওয়ামী লীগের অনলাইনের কোনো মিটিংয়েও অংশ নেননি।
“এখন তিনি শারিরীকভাবে অসুস্থ- এমন কারণ দেখিয়ে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে এখনো পদত্যাগপত্র জেলা আওয়ামী লীগের কোনো নেতার কাছে জমা দিতে পেরেছেন কিনা, তা আমার জানা নেই।”