Published : 09 May 2025, 02:24 PM
সাধরণত মধ্যদুপুরে মাঝারি তাপপ্রবাহ দেখা দেয় খুবই কম; তবে চুয়াডাঙ্গার জন্য দিনটি ব্যতিক্রম।
শুক্রবার বেলা ১২টাতেই জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা মাঝারি তাপপ্রবাহ বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান।
তিনি বলেন, “সাধারণত বেশিরভাগ দিনে বেলা ১২টায় মাঝারি তাপপ্রবাহ দেখা দেয় না। এই সময়ে তাপমাত্রা বেশি হলেও তা থাকে তাপপ্রবাহের নিচে কিংবা মৃদু তাপপ্রবাহের আওতায়। আজ এর ব্যতিক্রম হল।”
এদিন সকাল থেকেই তীব্র রোদ আর গরমের কারণে মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা ছিল কম। নিম্নআয়ের মানুষ রোদে ও গরমে কাজ করতে পারছেন না। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না।
সকাল থেকে শহর ঘুরে দেখা গেছে, রিকশা ও ভ্যানচালকরা কাজ করতে হাঁপিয়ে ওঠছেন। অনেককে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে। রোদ-গরমের মধ্যেই অনেক দিনমজুরকে জরুরি কাজ করতে দেখা গেছে। ঘামে তাদের পুরো শরীর ভিজে গেছে।
শহরের ইসলামপাড়ার ভ্যানচালক আকরাম হোসেন বলেন, “ভ্যান চালাতে পারছি না। আজ অনেক রোদ। গা চ্যাট চ্যাট করছে। কাজ না করলে সংসার চলবে না। তাই রোদের মধ্যে বের হয়েছি।”
আবহাওয়া কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান জানান, তাপমাত্রা আরও বাড়বে। ১৩ মে পর্যন্ত তাপমাত্রা থাকবে বেশি। তারপর বৃষ্টি হতে পারে। পরে নিম্নচাপও দেখা দিতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, “তীব্র গরমে রোদ এড়িয়ে চলতে হবে। বয়স্করা ঘরে থাকলেই নিরাপদে থাকবেন। খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তরল খাবার বেশি খেতে হবে।”