Published : 28 May 2025, 12:31 PM
লক্ষ্মীপুরে সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান ভূঁইয়া হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার সকালে র্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু জানান, আগের রাতে ঢাকার পল্লবী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. মুক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেন তারা।
মুক্তার সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামের মফিজ উল্যার ছেলে।
ঘটনার পর ১১ বছর তিনি পলাতক ছিলেন। গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য তিনি দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছিলেন বলে র্যাব কর্মকর্তা মিঠুন জানান।
র্যাব বলছে, ২০১৪ সালের ২১ মে রাতে চরশাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান ভূঁইয়াকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। রাতেই বাড়ির পাশে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনার চারদিন দিন পর মান্নানের স্ত্রী আঞ্জুম আরা বেগম অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২ জুন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শাহেনূর মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারক। রায়ের দিন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কফিল উদ্দিন ছাড়া বাকিরা পলাতক ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-আবদুর রহমান ও মো. জয়নাল। গ্রেপ্তার মুক্তার ছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বাকিরা হলেন মো. জুলফিকার, খোরশেদ আলম, শাহ জালাল ও ইয়াসিন আরাফাত রাফি। গত ২৫ এপ্রিল পলাতক শাহ জালালকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব কর্মকর্তা মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, “মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মুক্তারকে গ্রেপ্তারের জন্য র্যাব গোয়েন্দা কার্যক্রম চালায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব ২ এর সহযোগিতায় পল্লবী থানাধীন সেকশন ১২ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নিজেকে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হিসেবে স্বীকার করেছেন। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”