Published : 04 May 2024, 07:46 PM
প্রাকৃতিক প্রজননক্ষেত্র পুনরুদ্ধার করে কাপ্তাই হ্রদের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং বন্ধকালীন অবৈধ উপায়ে মাছ শিকার রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগের কথা জানালেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
শনিবার সকালে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের আয়োজনে বিএফডিসির মৎস্য অবতরণ ঘাটে কাপ্তাই হ্রদে পোনা অবমুক্তকরণ ও জেলেদের মাঝে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে চাল বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আব্দুর রহমান বলেন, “আমি এই হ্রদ দেখে হতাশ হয়েছি। আমি যা চিন্তা করেছিলাম তার একবারেই ভিন্ন চিত্র দেখলাম। জেলেদের এই তিন মাস খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে তবুও যদি কেউ মাছ শিকারের জন্য হ্রদে নামে তবে আইনের কঠোর প্রয়োগ করা হবে।
“বন্ধের সময়ে মাছ শিকার বন্ধ রাখা, খোলা মৌসুমে মশারি জাল ব্যবহার বন্ধ ও জালে ছোট মাছ ধরা পড়লে ছেড়ে দিয়ে এই হ্রদকে আবারও পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করব। এই হ্রদে মৎস্য ভাণ্ডার ফিরিয়ে আনা সম্ভব, আমরা সেই চেষ্টাই করছি, এর জন্য প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ।”
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন-বিএফডিসির চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দারের সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন, নৌ পুলিশ অতিরিক্ত আইজি মো. আবদুল আলীম মাহমুদ, মৎস্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট মহাপরিচালক মো. জুলফিকার আলী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, বিএফডিসির কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভুইয়া।
সভা শেষে কাপ্তাই হ্রদের পোনা অবমুক্তের মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। একই সঙ্গে হ্রদের ওপর নির্ভরশীল প্রায় ২৭ হাজার জেলের মাঝে ভিডিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
বিএফডিসি জানায়, কাপ্তাই হ্রদে এ বছর প্রায় ৬৫ মেট্রিকটন কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হবে। এই হ্রদে মৎস্য শিকার করে জীবিকা নির্ভর করে প্রায় ২৭ হাজার জেলে।