Published : 23 Oct 2022, 04:57 PM
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবেলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন; দুর্যোগের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ও উপকূলীয়দের নিরাপত্তায় জেলার ২৫০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, “ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবেলায় ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দুর্যোগের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় জেলার ২৫০টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ১২শ স্কুল-কলেজ বিকল্প আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রয়েছে।
“দুর্যোগকালীন জরুরি সেবাদানের জন্য প্রত্যেক উপজেলায় খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।”
সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ঝড়ের পূর্বেই মানুষকে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
প্রত্যেক ইউনিয়নে মেডিকেল টিম প্রস্তুতকরণ, পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও খাওয়ার পানি মজুদ রাখা, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাধ নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার রিপন বলেন, “বর্তমানে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে। কিভাবে আঘাত হানবে তা এখন সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে বর্তমানে যে অবস্থা তাতে বড় ধরনের জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে।”
শ্যামনগরের নীলডুমুর গ্রামের আব্দুল হালিম বলেন, “বারবার দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে হয়ে এখন আমরা দিশেহারা। এখন কি করবো তা বুঝতে পারছি না।”
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রেজা রশিদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আরিফুর রহমান, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন ও কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী উপস্থিত ছিলেন।