Published : 01 Jan 2023, 04:12 PM
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের মধ্য দিয়ে সারাদেশে ‘বই উৎসব’ হয়েছে। নতুন বইয়ের গন্ধে শিশু-কিশোররা তাদের নতুন বছরের সূচনা করেছে।
রোববার, বছরের শুরুর দিন সব শিক্ষার্থীর হাতে সব বই যায়নি। তবে দ্রুত সময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পাঠ্যপুস্তক নিতে শিক্ষার্থীরা শীতের সকালে স্কুলের আঙ্গিনায় জড়ো হয়। তাদের চোখে-মুখে ছিল আনন্দের আভা। নতুন বই হাতে পেয়ে তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। প্রায় সব স্কুলেই কর্তৃপক্ষ অনুষ্ঠান করে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়েছে।
মাগুরা:
মাগুরা পারনান্দুয়ালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে সকালে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর বই বিতরণ উৎসবের উদ্বোধন করেন। জেলা শিক্ষা কার্যালয় ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় এ উৎসবের আয়োজন করে।
মাগুরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, নতুন বছরে জেলার মোট ৫০৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৬ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৩ লাখ ২৯ হাজার ৭২২টি বই এবং ১৭৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮৮ হাজার ৭০৫ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ২৩০টি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।
এদিন জেলার ৭৪টি মাদ্রাসা ও ১০টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝেও বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হয়।
মেহেরপুর:
সকালে মেহেরপুরের রামনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জেলা প্রশাসক মনসুর আলম খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলায় বই উৎসবের উদ্বোধন করেন।
মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজুল হোসেন।
তিনি বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে ৭১ ভাগ শিক্ষার্থীর হাতে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে ৭৫ ভাগ শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হবে।
খাগড়াছড়ি:
খাগড়াছড়ি সদরের ঠাকুরছড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বছরের প্রথম দিন খাগড়াছড়িতে মাতৃভাষায় রচিত বই পেয়ে পাহাড়ের কোমলমতি শিশুরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।
খাগড়াছড়ি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাহাব উদ্দিন জানান, জেলায় ৭০৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ লাখ ১৩ হাজার ২৩২ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৪ লাখ ৫৭ হাজার ৬৯২ বই বিতরণ করার কথা থাকলেও বছরের প্রথম দিনে বিতরণ করা হয় ১ লাখ ৭৪ হাজার ৬৫৯টি বই। নতুন বই আসার পর পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে।
বই উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু। আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাহাব উদ্দিন।
শেরপুর:
চাহিদার চেয়ে প্রায় ১৫ লাখ বইয়ের ঘাটতি নিয়ে শেরপুরে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে ।
রোববার সকালে শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং শেরপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মাহমুদুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহনাজ ফেরদৌস, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেজুয়ান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওবায়দুল্লাহ।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেজুয়ান বলেন, এ বছর জেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ে ১৮১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৭ লাখ বইয়ের চাহিদা থাকলেও এ পর্যন্ত ১৭ লাখ ৫০ হাজার বই এসছে। আর প্রাথমিক পর্যায়ে ৭৪২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বইয়ের চাহিদা রয়েছে প্রায় ৮ লাখ। এ পর্যন্ত সাড়ে ৩ লাখ বই এসে পৌঁছেছে কর্তৃপক্ষের কাছে।
মুন্সীগঞ্জ
সারাদেশের মত মুন্সীগঞ্জ জেলার স্কুলে স্কুলেও চলছে বই উৎসব। নতুন বই পেয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরাজ করছে আনন্দ-উচ্ছ্বাস।
জেলার ৭৭২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় সোয়া লাখ শিক্ষার্থী ১৫ লাখ বই পেয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
শুধু শহরই নয়, গ্রাম-গঞ্জের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে বই উৎসবের আমেজ। নতুন বইয়ের ঘ্রাণ শিক্ষাঙ্গণগুলোর বাতাসে।
পৌষের কনকনে শীত উপেক্ষা করেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর স্কুলগুলো। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক-অভিভাবকরাও আনন্দিত।
কুমিল্লা
কুমিল্লায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে হয়েছে বই উৎসব।
রোববার নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে কুমিল্লার বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১ কোটি ২৬ লাখ ১২ হাজার ৫৭১টি বই বিতরণ করা শুরু হয়েছে বলে জানায় জেলা শিক্ষা অফিস।
সকালে কুমিল্লা জিলা স্কুলে বই বিতরণের উদ্বোধন করেন সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহার উদ্দিন বাহার।
একই দিন নগরীর নবাব ফয়জুন্নেছা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কালেক্টরেট উচ্চবিদ্যালয়ে বই বিতরণের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম।
এ ছাড়া জেলার ১৭টি উপজেলায় উৎসাহ ও উৎসবের মধ্য দিয়ে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদরাসার শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়েছে।
নতুন বই পেয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরাজ করছে উচ্ছ্বাস।
জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বছর জেলায় মাদরাসা, নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের ৯৮৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ৯৬ লাখ ৯০ হাজার ৬১৩টি বইয়ের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ৮০ লাখ বই ইতোমধ্যে কুমিল্লায় পৌঁছেছে। বছরের প্রথম দিনে এসব বই বিতরণ শুরু হয়েছে।
এ ছাড়া জেলার ২ হাজার ১১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১ হাজার ৭৪৬টি বেসরকারি কিন্ডার গার্টেনের ৭ লাখ ৩৩ হাজার ৭৪১ জন ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ২৯ লাখ ২১ হাজার ৯৫৮টি বই বিতরণ করা শুরু হয়েছে।
প্রাথমিক পর্যায়ে আরও লক্ষাধিক বইয়ের চাহিদা রয়েছে; বাকি বই আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের বিতরণ করা হবে জেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
কুড়িগ্রাম
সারাদেশের মত বই উৎসব হয়েছে কুড়িগ্রাম জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে।
রোববার সকাল ৯টায় কুড়িগ্রাম কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম উৎসবের উদ্বোধন হয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জানান, কুড়িগ্রাম নয়টি উপজেলায় এক হাজার ২৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য চাহিদা ছিল ১৪ লাখ ৪৬ হাজার ১৩৫টি বই। পাওয়া গেছে সাত লাখ ৬৬ হাজার ৫০০টি বা শতকরা ৬৩ ভাগ। এর মধ্যে প্রাক প্রাথমিকের ৪৯ হাজার ২০০ শিক্ষার্থীর শতভাগ বই পাওয়া গেছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুল আলম জানান, জেলার নয়টি উপজেলায় এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে ৫৪৪টি। এর মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক ৩২টি, মাধ্যমিক ২৭০টি, মাদ্রাসা ২০৩টি, স্কুল অ্যান্ড কলেজ ১২টি এবং কলেজ ২৭টি।
প্রতিষ্ঠানগুলোতে মোট তিন লাখ ২৩ হাজার ১৩২ শিক্ষার্থী আছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক বইয়ের চাহিদা ২১ লাখ ৪৫ হাজার ৩০৯টির মধ্যে পাওয়া গেছে দশ লাখ ৩১ হাজার ৬২৯টি বা শতকরা ৪৮ ভাগ।
দাখিলে আট লাখ ৮৬ হাজার ৩৪৯ চাহিদার মধ্যে এসেছে ৭৯ হাজার ৮৭৯টি বা শতকরা ৯ ভাগ। এবতেদায়ীতে ছয় লাখ ২৩ হাজার ২৮০ বইয়ের চাহিদার বিপরীতে মিলেছে চার লাখ ২৫ হাজার ৬২০টি বা শতকরা ৬৮ ভাগ।
বই সংকটের শঙ্কা নেই জানিয়ে জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ জানান, প্রতিদিনই আমরা বই পাচ্ছি। জেলার চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত সব বই শিক্ষার্থীর হাতে পৌঁছবে।
গাইবান্ধা
গাইবান্ধায় বছরের প্রথম দিন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়েছে।
শহরের কলেজিয়েট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত এবং সরকারি বালক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি।
এ সময় গাইবান্ধা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক, জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান, গাইবান্ধা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা. রোকছানা বেগম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হারুনর রশীদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম, সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাকিরুল ইসলাম, গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহানা বানু ছিলেন।
মো. হারুনর রশীদ জানান, প্রাথমিক স্তরে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত এক হাজার ৪৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ২২ লাখ ৭৬ হাজার ৬০০টি বই বিতরণ শুরু হয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, মাধ্যমিক, দাখিল, এবতেদায়ী ও কারিগরি ট্রেডে ৪৬ লাখ ১৬ হাজার ৮৩৫টি বইয়ের চাহিদা অনুযায়ী বিতরণ শুরু হয়েছে।
টাঙ্গাইল
বছরের প্রথম দিনে টাঙ্গাইলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থীর মাঝে ৭৬ লাখ ৩৬ হাজার ৪২৭ নতুন বই বিতরণ করা হয়।
জেলা সদর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস উপলক্ষে বই বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দীন হায়দার।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ওলিউজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুর রহিম সুজন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মুহাম্মদ সরোয়ার আলম, টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ।
স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ।
পরে অতিথিরা টাঙ্গাইল কালেক্টেরট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বই উৎসবে অংশ নেন।
জেলা প্রশাসন থেকে জানা যায়, টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলায় ৫ লাখ ৫০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মাঝে ১৯ লাখ ৭ হাজার ১১৮টি বই এবং ৪ লাখ ৪০ হাজার মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের মাঝে ৫৭ লাখ ২৯ হাজার ৩০৯টি বই বিতরণ করা হবে।
ভোলা
সারাদেশের মত ভোলা জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪ লাখ শিক্ষার্থীর মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে এ বই বিতরণ হয়।
জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই লাইহী জানান, বছরের প্রথম দিনে জেলার বিদ্যালয়গুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশে নতুন বই দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, বই পেয়ে তারা খুব খুশি। নতুন বইয়ের গন্ধে উৎফুল্ল তারা।
জেলা শিক্ষা অফিস থেকে জানা যায়, এ বছর জেলায় প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ৯ হাজার শিক্ষার্থীকে ৪২ লাখ ৯৪ হাজার নতুন বই দেওয়া হবে।
শরীয়তপুর
সারাদেশের মত শরীয়তপুরেও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে নতুন বই বিতরণ শুরু হয়েছে।
রোববার সকাল ১০টায় পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো. পাভেজ হাসান।
এ সময় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র শর্মা, উপজেলা মাধ্যামিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদ হোসেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এমারত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, জেলায় মাদ্রাসা, কারিগরি, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রায় ১৮ লাখ নতুন বই বিতরণ করা হবে।