Published : 10 Jan 2024, 08:32 PM
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ‘ঘুষের টাকাসহ’ আটক দুই নার্সের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফ বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন বলে বুধবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন।
তিনি বলেন, মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে আটক হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মো. আমিনুল ইসলাম ও সুমন চন্দ্র দেবকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। প্রধান আসামি ওসমানী হাসপাতাল নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল আলী সাদেককে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সম্প্রতি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স গীতা রানী হালদারের আট বছরের প্রাপ্য ৩৪ লাখ টাকা বকেয়া বিল করে দেওয়ার বিনিময়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন সাদেক। পরে গীতাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও চাপ দিয়ে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিতে রাজি করান।
তারপর গীতা তাকে অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা দেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার সময় সাদেকের দাবি করা বাকি ৬ লাখ টাকা আমিনুলের কাছে জমা দেন গীতা। তখন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমিনুলকে নগদ ৬ লাখ টাকাসহ আটক করে একটি সংস্থার সদস্যরা। পরে আমিনুলের দেওয়া তথ্যমতে সুমনকে আটক করা হয়।
হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, “ইসরাইল আলী সাদেক বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, দালালি, অর্থ আত্মসাৎ করে বিপুল অর্থ-সম্পদ অর্জন করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনসহ অন্যান্য দপ্তরে তার বিরুদ্ধে একাধিক তদন্ত চলছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছি।”
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, “হাসপাতালের সিনিয়র নার্স আমিনুল ও সুমন ঘুষ লেনদেনকালে আটক হন; এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হাসপাতালের উপ-পরিচালককে প্রধান করে গঠিত চার সদস্যদের তদন্ত কমিটি পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী তাদের বরখাস্তের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”