Published : 24 Dec 2023, 10:49 PM
কাহালু উপজেলায় নির্বাচনি প্রচারে গিয়ে আবার হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বগুড়া-৪ আসনের প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
রোববার সন্ধ্যা ৭টায় কাহালু বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে অভিযোগ করে আলোচিত এই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর বলেন, এ সময় তার দুই সমর্থক আহত হয়েছেন।
তারা হলেন- মোর্শেদুল রবি ও আব্দুস সালাম। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
রাত ৮টায় হিরো আলম বগুড়া সদরের এরুলিয়ায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন। এবং তিনি হামলার জন্য নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের দায়ী করেন।
কাহালু থানার ওসি সেলিম রেজা বলেন, “হামলার ঘটনায় একজনকে শনাক্ত করে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে। আশরাফুল আলম এখনও লিখিত অভিযোগ জানাননি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।”
হিরো আলম কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির প্রার্থী হিসেবে ডাব প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এখানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাসদের এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন। তিনি দুইবারের সংসদ সদস্য।
এর আগে শনিবার নন্দীগ্রামের মুরাদপুর বাজারে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে নির্বাচনি প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনেন হিরো আলম।
রাতে সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম বলেন, “পাঁচপীর এলাকায় প্রচার চালিয়ে ১০ থেকে ১৫ কর্মী সমর্থকসহ আমি কাহালু বাজারে আসি। এই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী ও মৎস্য ব্যবসায়ী রমজান প্রচার চালাতে নিষেধ করেন। একপর্যায়ে রমজানের সঙ্গে উপজেলা তাঁতী লীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা যোগ দিয়ে হামলা চালায়।
বগুড়ায় হিরো আলমের প্রচারে বাধা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
হিরো আলম বলেন, “শনিবারে নন্দীগ্রামে হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এরপরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমাকে এত ভয় কেন? তারা বুঝতে পেরেছেন, আমার গণজোয়ার তৈরি হয়েছে৷ এজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বারবার তানসেনের পক্ষ নিয়ে আমার ওপর হামলা চালাচ্ছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বলেন, “কাহালুতে আওয়ামী লীগের সরাসরি কোনো প্রার্থী নেই। তাই কারও সঙ্গে ঝামেলায় জড়ানোর প্রশ্নই আসে না। এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এর দায় সংগঠন নেবে না।”