Published : 13 Apr 2023, 07:36 PM
এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে রাজশাহীর ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করেছে, যা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
একই দিন দেশের সর্বাচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়।
টানা তাপপ্রবাহে রাজশাহীর জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। অফিস-আদালত বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ কর্মক্ষেত্রের কোথাও স্বস্তি নেই। পথে-ঘাটে কাজ করা শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। রুটি-রুজির তাগিদে তীব্র গরম উপেক্ষা করে কাজে যেতে হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত মৃদু তাপপ্রবাহ; ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত মাঝারি তাপপ্রবাহ; আর ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হলে বলা হয় তীব্র তাপপ্রবাহ।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, গত ৪ এপ্রিল থেকে রাজশাহীতে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। এদিন রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৯ এপ্রিল রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১০ এপ্রিল রেকর্ড করা হয় ৩৮ ডিগ্রি ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আর ১১ এপ্রিলও রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১২ এপ্রিল বিকাল ৩টায় রাজশাহী সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আব্দুস সালাম বলেন, রাজশাহীতে তাপ প্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে দুপুর গড়াতেই কমে যাচ্ছে বাতাসের আর্দ্রতাও। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় রাজশাহীতে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৩ শতাংশ। বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়ার কারণে মানুষের শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ছে। রোজা থাকার কারণে পানি পান করে সেই ঘাটতিও পূরণ করতে পারছে না। এতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীর কষ্ট বেশি হচ্ছে। গরমে মানুষের ঠোঁট ফাটছে, হাত পাও ফেটে যাচ্ছে। এই অবস্থায় শিশু ও বৃদ্ধদের ছায়ায় থাকতে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এ ছাড়া ইফতারের সময় ডায়াবেটিস রোগীদের পরিমিত পরিমাণে খেজুর খাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন।
রাজশাহীর বিশিষ্ট ডায়াবেটিক বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুস সামাদ বলেন, এমন তাপপ্রবাহে সাধারণত উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের বেশি সমস্যায় ভুগতে হয়। তাই শারীরিক সমস্যা থাকলে তাদের রোজা না থাকাই ভালো। আর যারা রোজা রাখতে পারছেন, তাদেরকে ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত বেশি পরিমাণে পানি ও পানীয় জাতীয় ফলমূল খেতে হবে।
এ ছাড়া তেল ও চর্বি জাতীয় সব খাবার সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন
রাজশাহীর তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি ছাড়াল
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি, মৌসুমের শুরুতেই হাঁসফাঁস
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস