Published : 25 Jan 2024, 07:22 PM
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের হিমছড়ির বালিয়াড়িতে পুঁতে রাখা একটি তিমির কঙ্কাল উত্তোলন করা হয়েছে; যেটি প্রায় তিন বছর আগে মৃত অবস্থায় সৈকতে ভেসে এসেছিল।
শিক্ষা ও গবেষণায় কাজে লাগাতে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট (বোরি) কঙ্কালটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রামু উপজেলার পেঁচারদ্বীপে সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটের সম্মেলনে কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক অধ্যাপক তৌহিদা রশীদ।
তৌহিদা রশীদ বলেন, “মঙ্গলবার দুপুরে বোরির বিজ্ঞানীরা তিমির কঙ্কালের খোঁজে হিমছড়ি সৈকতে খনন শুরু করেন। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ৯০ শতাংশ খনন কাজ শেষ করা হয়।
“বৃহস্পতিবার পুরোপুরি খনন কাজ শেষ করে তিমিটির কঙ্কাল সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হবে। আলাদা আলাদা হাড়গুলো বিশেজ্ঞদের মাধ্যমে জোড়া লাগিয়ে কঙ্কালের পরিপূর্ণ রূপ দেওয়া হবে।”
বোরির মহাপরিচালক বলেন, ২০২১ সালের ১০ এপ্রিল জোয়ারে ৪৪ ফুট দীর্ঘের মৃত তিমিটি হিমছড়ি সৈকতে ভেসে আসে। পরে বনকর্মীরা তিমিটি সৈকতের বালিয়াড়িতে ১০ ফুট গর্ত করে পুঁতে রাখেন।
এর আগের দিন ৯ এপ্রিল একই সৈকতের চার কিলোমিটার উত্তরে দরিয়ানগরে আরও একটি মৃত তিমি ভেসে আসে। ৪৮ ফুট দীর্ঘের সেই তিমিটিও বালিয়াড়িতে পুঁতে রাখা হয়। বোরির বিজ্ঞানীরা তিমি দুটির নমুনা সংগ্রহ করে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজিতে (এনআইবি) পরীক্ষার জন্য পাঠায়।
তিমি দুটি ব্রাইডস হুয়েল বা বলিনোপেট্রা ইডেনি প্রজাতির বলে প্রতিবেদন দেয় এনআইবি। ৯ এপ্রিল ভেসে আসা তিমিটি নারী এবং ১০ এপ্রিল ভেসে আসে তিমিটি পুরুষ বলে চিহ্নিত করা হয়।
গবেষণা ও সংরক্ষণের জন্য সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) পক্ষ থেকে তিমি দুটির কঙ্কাল উত্তোলনের জন্য বন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয় বলে জানান তৌহিদা রশীদ।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিমি দুটির কঙ্কাল এ দুই প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ইনস্টিটিউটে সংরক্ষণের পাশাপাশি এটি শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের জন্যও উন্মুক্ত থাকবে।
শনিবার থেকে বোরিতে দুই দিনব্যাপী সমুদ্র বিষয়ক আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন তিমিটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে জানান তৌহিদা রশীদ।
গত বছরের ১৮ এপ্রিল কলাতলী সমুদ্রসৈকতে একটি মৃত তিমি ভেসে আসে। পরে ‘ব্রাইডস হুয়েল’ প্রজাতির তিমিটি বালিয়াড়িতে পুঁতে রাখা হয়।