Published : 10 Dec 2022, 09:01 PM
বিএনপি দেশের ক্ষমতা দখলের দিবাস্বপ্ন দেখছে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, “বিএনপি নাকি ১০ ডিসেম্বর এ দেশ দখল করবে। ১০ ডিসেম্বর তো শেষ হয়েই গেলে, কিন্তু কোথায় আজ তারা? তারা দেশ দখলের দিবাস্বপ্ন দেখেছে। কার শক্তিতে তারা এগুলো বলছে, সেটা আমাদের জানা আছে।
“তাদেরকে পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই- এ দেশে তৃতীয় শক্তি ক্ষমতা দখলে আসার সুযোগ নেই। আর বিদেশি প্রভুদের মদতে যারা ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখছেন, তাদের বলছি- দিবাস্বপ্ন দেখে লাভ নেই। কারণ স্বাধীনতার স্বপক্ষে লোক আমরা ঘরে বসে থাকব না।”
শনিবার সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা নগরীর টাউন হল মাঠে ‘মায়ের কান্না’ নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এ সময় মোজাম্মেল স্বাধীনতা পরবর্তীকালের দুর্ভিক্ষের কথা উল্লেখ করে আরও বলেন, “নগদ পয়সায় বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে চাল এবং গম কিনেছিলেন আমেরিকার কাছ থেকে। কিন্তু সেই চাল ও গম বাংলাদেশে এসে পৌঁছায়নি। ষড়যন্ত্র করে কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ তৈরি করা হয়েছিল।”
“আজ তারাই আবার হুমকি দিচ্ছে সরকারের পতন ঘটাবে। এটা ১৯৭৫ না, এটা ২০২২ সাল। সেই কথা ভুলে যান। সেই চিন্তা আর করবেন না।”
অনুষ্ঠানে ১৯৭৭ সালে গুম, হত্যা ও বিচারবহির্ভূতভাবে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা মুক্তিযোদ্ধা এবং বিভিন্ন বাহিনীতে কর্মরত থাকা অবস্থায় নিহত হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে নিহতের স্বজনরা এসব গুম, খুন ও ফাঁসির বিচার দাবি করেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার বাংলার মাটিতেই হবে মন্তব্য করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, “এই খুনির কবর জাতীয় সংসদের পবিত্র আঙিনায় থাকতে পারে না। বাংলার মানুষ তথাকথিত কবর সেখান থেকে সরিয়ে দেবে। আমি জাতীয় সংসদেও বলেছি, জিয়ার লাশ এখানে নেই। কীসের না কীসের লাশ, নাকি অন্য কিছু রেখে জিয়ার কবর বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা।”
মন্ত্রী আরও বলেন, “এদেশে গুমের রাজনীতি শুরু করেছিল জিয়া। জিয়া বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, আর খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। সেদিন আমাদের নেত্রী বেঁচে গেলেও আরেক নেত্রী আইভি রহমান বাঁচতে পারেননি।”
‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, শহীদ কর্নেল নাজমুল হুদার মেয়ে সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত, কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলু, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ, দীপ্ত টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান।